• নাটক, ঢাক, ছবি আঁকায় প্রতিবাদ, দ্রোহের কার্নিভালে থাকছে আর কী কী? খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন
    আনন্দবাজার | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • যে কোনও মাধ্যম। যার সাহায্যে নিজের রাগ, দুঃখ, যন্ত্রণা, প্রতিবাদ প্রকাশ করা যায়। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবি তোলা যায়। কলকাতা হাই কোর্টের অনুমোদনে মঙ্গলবার বিকেলে দ্রোহের কার্নিভাল শুরুর আগে এ কথাই জানিয়েছেন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’-এর কয়েক জন সদস্য।

    ঢাকের বাজনার পাশাপাশি প্রতিবাদের ভাষা সেখানে নাটক, নাচ, গান, চিত্রশিল্প। সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই তুলে ধরা হচ্ছে প্রতিবাদ। আয়োজকদের একটা অংশ জানিয়েছে, ৬০টিরও বেশি নাগরিক সংগঠন যোগ দিচ্ছে দ্রোহের কার্নিভালে। খোলা আমন্ত্রণে সাড়া দিতে পারেন বিশিষ্টজনেদের একাংশও।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কলকাতার বড় পুজোগুলির প্রতিমা নিয়ে রেড রোডে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে পুজো কার্নিভাল। ওই দিনই আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে এবং অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রানি রাসমণি রোডে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এর ডাক দিয়েছে ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’। কলকাতা পুলিশ অনুমতি না দিলেও মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রবি কিশন কপূর তাতে অনুমতি দিয়েছেন। তার পরেই শুরু হয়েছে ব্যারিকেড খোলার পালা।

    ধর্মতলার মোড় থেকে শুরু করে রেড রোড, রানি রাসমণি রোডের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। গোটা এলাকায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি। রেড রোড এবং রানি রাসমণি রোডের একটি করে লেন ঘিরে ফেলা হয়েছে ব্যারিকেড দিয়ে। রানি রাসমণি রোড ধরে ধর্মতলা থেকে নেতাজি মূর্তির দিকে ডান পাশের লেনে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে পড়ার ছবি ধরা পড়েছে। নেতাজি মূর্তির একেবারে সামনেই বসানো হয়েছিল প্রায় ৯ ফুটের ব্যারিকেড। এক মানুষ সমান উঁচু ব্যারিকডগুলিকে গার্ডরেলের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা রাখা সেই গার্ডরেল সরে যায় আদালতের নির্দেশে। প্রতীক্ষা শুরু হয় বিকেল ৪টের জন্য।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)