• উৎসবের কার্নিভালে রেকর্ড বিদেশি, লিখলেন কুণাল, 'পুরাতন ভৃত্য' পালটা জবাব বিজেপির
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • একই দিনে কলকাতায় দুটি কার্নিভাল। একটি হল দ্রোহের কার্নিভাল। আর অপরটি হল সরকারি উদ্যোগে উৎসবের কার্নিভাল। একটির উদ্যোগে জুনিয়র ডাক্তাররা। অপরটির দায়িত্বে রাজ্য সরকার। একটিতে প্রতিবাদের ঝড় আর অপরটি আলোক উজ্জ্বল, শুধুই উৎসব। এবার অনেকেরই আগ্রহ কাদের কার্নিভাল কতটা সফল হল?

    তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ প্রথম থেকেই এই অনশন আন্দোলনকে বার বার তীব্র কটাক্ষ করেছেন। এবার কার্নিভাল মিটতেই ফের আসরে নেমে পড়লেন কুণাল। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন,

    উৎসবের কার্নিভালে রেকর্ড সংখ্যক পুজো, ভিড়, রেকর্ড বিদেশি, পারফরম্যান্সে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র। এঁরা সবাই তিলোত্তমার ন্যায়বিচারও চান। দ্রোহের কার্নিভালের নামে কিছু বাম, অতি বামের রাজনৈতিক কিছু জমায়েত, বিঘ্ন ঘটানোর জন্য। জুনিয়র ডাক্তার এবং কিছু বাম মিলে কার্নিভাল ফেরত জনতাকে যানজটে ফেললেন। নিজেদের এলাকার দিকে ফেরার পথে পুজো কমিটির সঙ্গে অসভ্যতা করল কিছু লোক। কোনো পুজো কমিটি প্ররোচনায় পা দেয়নি। কিন্তু দুর্গা কার্নিভাল বিঘ্নিত করার এই মরিয়া চেষ্টা মনে রাখা ভালো। লিখলেন কুণাল ঘোষ।

    কার্যত তিনি নিজেই দুটি কার্নিভালের মধ্যে ফারাক টানার চেষ্টা করেছেন। কার্যত দ্রোহের কার্নিভালকে তিনি বাম-অতিবামদের কার্নিভাল বলে দাগিয়ে দেন। সেই সঙ্গেই এই দ্রোহের কার্নিভাল থেকে যানজট হয়েছে বলেও দাবি করেন কুণাল।

    তবে কুণালের এই পোস্টের জবাবে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তেওয়ারি কয়েকটি ছবি পোস্ট করে খোঁচা দিয়েছেন কুণালকে। তিনি লিখেছেন, আপনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব তৃণমূল নেয়নি দেখছি। সারাদিন দলটার জন্য এত করছেন কিন্তু আপনাকে চশমা পর্যন্ত দেয়নি। মালকিনের ভাইপোর চোখের চিকিৎসা বাইরে করতে যায় আর পুরাতন ভৃত্যকে একটা চশমা পর্যন্ত কিনে দেয় না। আপনার জন্য় মায়া হয়। এরপর তিনি কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, লোকে লোকারণ্য দ্রোহের কার্নিভাল। সেই ছবি দেখিয়ে কুণাল ঘোষকে তীব্র খোঁচা দিলেন তরুণজ্যোতি।

    অপর এক নেট নাগরিক লিখেছেন, দ্রোহের কার্নিভালের জমায়েত দেখলে আরও অনেক তৃণমূল কর্মচারীর আজকে রাতের ঘুম উড়ে যাবে। মনে হয় বিপিও হাই হয়ে যাবে। অপর একজন লিখেছেন, বিদেশিরা এসে দেখে গেল মহিলা হিটলার শাসন ব্যবস্থা তলানিতে ঠেকেছে এই রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী চোর ডাকাত বর্বরদের প্রধান এই রাজ্যে চুরি শিল্প আছে, চাকরি নেই, পোষা তাবেদারদের রেখেছে তারা লম্ফ ঝম্ফ করছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)