• মন্ত্রী সুজিতের গাড়িতে থাপ্পড়, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, আটক চিকিৎসককে ছাড়ল থানা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • একদিকে উৎসবের কার্নিভাল। আর অন্যদিকে রানি রাসমণি রোডে দ্রোহের কার্নিভাল। একদিকে আলোকউজ্জ্বল মঞ্চ। সেখানে নাচ-গান। আর দ্রোহের কার্নিভালে উঠল প্রতিবাদের আওয়াজ। আদালতের নির্দেশে কার্নিভাল আটকাতে পারেনি রাজ্য সরকার। 

    এদিকে দ্রোহের কার্নিভালের অঙ্গ হিসাবে এদিন মানববন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আর ডোরিনা ক্রশিংয়ের কাছে সেই মানববন্ধনের মধ্য়ে গাড়ি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকী উৎসবের কার্নিভালের কিছু গাড়িও ঢুকে যায় ওই মানবন্ধনের মধ্য়ে। এরপরই জুনিয়র ডাক্তাররা স্লোগান দিতে শুরু করেন। এমনকী সাধারণ মানুষও তীব্র প্রতিবাদ জানান। 

    এদিকে ঘটনার সময় শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের ট্রাকও ফিরছিল। পেছনেই ছিল মন্ত্রী তথা পুজোর অন্য়তম উদ্যোক্তা সুজিত বসুর গাড়ি ছিল।  এদিকে মন্ত্রীকে দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে যায় মানববন্ধনে উপস্থিত লোকজন। তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করেন।এদিকে মন্ত্রীর দাবি গাড়ি লক্ষ করে বোতল ছোঁড়া হয়েছিল। এমনকী চলন্ত গাড়ির পেছনে চড় থাপ্পড়ও দেন কেউ কেউ। তবে মন্ত্রী থামেননি। তিনি দ্রুত গাড়ি নিয়ে এলাকা ছাড়েন।

    এদিকে গোটা ঘটনায় তিতিবিরক্ত সুজিত বসু। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু এটা কী ধরনের অসভ্য়তা। গাড়িতে আক্রমণ করবে? ওদের থেকে আমাদের পুজো লোক অনেক বেশি ছিল। ওখানে যদি পালটা হত তাহলে কী ভালো হত! আমি চাইনি পুজোর মধ্য়ে ঘটনাটা বাড়তে দিতে। 

    এদিকে মন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে এলাকায় আসেন পদস্থ পুলিশ কর্তারা। কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। তবে এখানে তাৎপর্যপূর্ণভাবে একজন বলেন, পুলিশের সুরক্ষার ব্যবস্থাও আমরা করছি। 

    এদিকে এদিন পুলিশ উৎসবরে কার্নিভাল থেকে এক চিকিৎসককে আটক করেছিল। শিরদাঁড়া বিক্রি নেই। লেখা ছিল টি শার্টে। অনশনকারীদের সমর্থন জানিয়ে তিনি ব্যাজ পরেছিলেন। আর তারপরই ওই চিকিৎসককে আটক করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আইএমএর চিকিৎসকদের চাপে আটক ডাক্তারবাবুকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তিনি থানার বাইরে এসে বলেন, আমাকে বলেছিল পুলিশ ভাই এদিকে এসো কথা আছে। তারপর থানায় নিয়ে আসে। কোন থানায় নিয়ে যাচ্ছে সেটাও বলতে চায়নি। 

    এদিকে মঙ্গলবার রাতে ময়দান থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে জনতা। তাদের দাবি, পুলিশকে ক্ষমা চাইতে হবে। এভাবে অন ডিউটি ডাক্তারকে আটক করা যায় না। তাঁর মোবাইল আটকে রাখা যায় না। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)