• মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে প্রতীকী অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকরা
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মঙ্গলবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন চলছে। তবে তার জন্য পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। আউটডোর থেকে ওয়ার্ড সর্বত্রই অন্যান্য দিনের মতোই ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিন হাসপাতালের ইমার্জেন্সির বাইরের চাতালে প্রায় ১৫ জন ডাক্তার অবস্থানে বসে। অনশনে বসা চিকিৎসকদের অধিকাংশই ছিলেন ইন্টার্ন, হাউস স্টাফ এবং পিজিটি।

    চিকিৎসকদের দাবি, অভায়াকাণ্ডে জড়িত সকল অপরাধীকে চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ চাইছেন তাঁরা। রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালে ‘সেন্ট্রাল রেফারাল সিস্টেম’ চালু করতে হবে। যাতে রোগী রেফার করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকে এবং বেডের জন্য রোগীর পরিজনদের হন্যে হয়ে ঘুরতে না হয়। প্রতিটি হাসপাতালে কখন কতগুলি বেড ফাঁকা, তার হিসেব অনলাইনে অ্যাভেলেবল রাখতে হবে। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজভিত্তিক টাস্কফোর্স গড়ে তুলে যথাযথ শৌচালয়, অনকল রুম, প্যানিক বোতাম ও হেল্পলাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালের নিরাপত্তায় সিভিক ভলান্টিয়ার বাদ দিয়ে পুলিসকর্মী নিয়োগের দাবি তুলছেন তাঁরা। 

    মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্রেট কালচার চালু ছিল। এই ‘ভয়ের রাজনীতি’তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল ও রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে বেনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে দাবি তোলেন অনশনরত চিকিৎসকরা। মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল অমিতকুমার দাঁ বলেন, গোটা দেশব্যাপী মেডিক্যাল কলেজগুলিতে অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাই আমাদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কয়েকজন চিকিৎসক প্রতীকী অনশন করছেন। তবে ওপিডি থেকে ওয়ার্ড সমস্ত পরিষেবা চালু রয়েছে। এই আন্দোলনের জেরে হাসপাতালে রোগী পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি। আমরা এখানকার চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ আর বিভিন্ন যে সমস্ত দাবি ছিল সেগুলি অবিলম্বে পূরণ করার ব্যবস্থা করেছি। মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার আখতার আলি বলেন, কোনও পরিষেবায় প্রভাব পড়েনি। আর পাঁচটা দিনের মতো সমস্ত জায়গায় একই রকম ভিড় রয়েছে। কোনও রোগী বলতে পারবেন না যে, তিনি চিকিৎসা পাচ্ছেন না। যে সমস্ত চিকিৎসকরা অনশনে বসেছেন, তাঁরা নিজেরা কষ্ট স্বীকার করেও রোগীদের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রাখেননি। তাঁদের দাবিগুলি অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। 
  • Link to this news (বর্তমান)