• ‘তৃণমূল কংগ্রেসই ফাঁসিয়েছে’, দাবি টেন্ডার প্রতারণায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা নবারুণের
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: বিজেপি পার্টি করার জন্য আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করলেন ১কোটি ৬০লক্ষ টাকা প্রতারণায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা নবারুণ নায়েক। তিনি বলেন, এপর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে ৬৫-৭০টি মিথ্যা মামলা হয়েছে। আগে কখনও আর্থিক প্রতারণার মামলা হয়নি। এই প্রথম হল। ২০২৬সালে বিধানসভা নির্বাচন আছে। সম্ভবত সেসব মাথায় রেখেই শাসক দল আমাকে কয়েকদিন জেলে পোরার পরিকল্পনা থেকে এমন মামলা করেছে। অভিযোগকারীকে আমি চিনি না। আইনের উপর আমার ভরসা আছে।


    উল্লেখ্য, অসমে প্রায় ৪০কোটি টাকা মূল্যের কম্বল সাপ্লাইয়ের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে ওই বিজেপি নেতা, তাঁর স্ত্রী সহ মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক এলাকার বাসিন্দা পেশায় ঠিকাদার বিশ্বজিৎ দত্ত এনিয়ে গত ১০অক্টোবর তমলুক থানায় এফআইআর করেছেন। টেন্ডার মূল্যের কমিশন হিসেবে নবারুণ নায়েককে ১কোটি ৬০লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে বিশ্বজিৎবাবু অভিযোগ করেছেন। ওই ঘটনায় নবারুণের স্ত্রী তনুশ্রী নায়েক এবং আরও চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। গোটা ঘটনা সামনে আসতেই জেলায় হইচই পড়ে গিয়েছে। 


    মঙ্গলবার অভিযোগকারী ঠিকাদার বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, অসমের গুয়াহাটি হোটেলে তনুশ্রী এবং আরও তিনজন ছিলেন। সেখানেই কমিশন নিয়ে কথাবার্তা ফাইনাল হয়। তমলুক থানার পুলিস আমাকে হোটেলের বিল জমা করতে বলেছেন। আমি বুধবার থানায় গিয়ে সেই বিল জমা করব। তাছাড়া, কলকাতায় আমার অফিস থেকে যে ব্যক্তিকে নগদ টাকা দেওয়া হয়েছিল সেই ব্যক্তি তনুশ্রীর কাছ থেকে একটি নোট এনেছিল। নবারুণের স্ত্রীর লেখা সেই চিরকুটও থানায় জমা করব।


    তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি নেতারা যখনই ঩বিপদে পড়ে, তখনই আমাদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। এটা কোনও রাজনৈতিক মামলা নয়। একজন ঠিকাদার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। নবারুণ নায়েক নির্দোষ হলে আইনি পথে প্রমাণ করুন। অন্যকে দোষ দিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা যাবে না।


    তমলুক থানার পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার অভিযোগকারী বিশ্বজিৎ দত্তের কাছ থেকে আরও কিছু নথি জোগাড় করার পর ওই বিজেপি নেতাকে নোটিস পাঠানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)