• লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থে লক্ষ্মীপুজোয় মাতেন দক্ষিণ নেগুয়া নিউস্টার উপসঙ্ঘের মহিলারা
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাঁথি: রাজ্য সরকারের সাড়া জাগানো জনমুখী প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। তা থেকে পাওয়া টাকার কিছু অংশ দিয়েই ধনদেবী মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে উঠেছেন এগরার নেগুয়া এলাকার মহিলারা। এগরা-১ ব্লকের ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র পঞ্চায়েতের ‘দক্ষিণ নেগুয়া(নুটিবেড়) নিউস্টার উপসঙ্ঘের’ উদ্যোগে মহিলা পরিচালিত লক্ষ্মীপুজো এবার চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করল। সংসার-হেঁশেল সামলে তাঁরা মা লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন। পুজো ঘিরে তাঁদের উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই।  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এলাকার বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি সহ বিশিষ্টদের উপস্থিতিতে পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। পুজো উপলক্ষ্যে তিনদিন ধরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এলাকার কচিকাঁচাদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যাত্রানুষ্ঠান, বস্ত্র বিতরণ সহ নানা কর্মসূচিও রয়েছে। পুজো উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার শর্টহ্যান্ড ক্রিকেট প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেগুয়া পুলিস ফাঁড়ির ইনচার্জ তরুণ সাঁই, জেলা পরিষদ সদস্য চন্দ্রকান্ত মাইতি প্রমুখ। ক্রিকেট প্রতিযোগিতার পুরস্কারও তুলে দেন অতিথিরা। 

    উদ্যোক্তা ২০০জনের সকলেই দক্ষিণ নেগুয়া(নুটিবেড়) নিউস্টার উপসঙ্ঘ স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর সদস্যা। ২০২১সাল থেকে তাঁরা একজোট হয়ে লক্ষ্মীপুজো করছেন। ১৪১জন সদস্যা মিলে পুজো শুরু করেছিলেন। এখন সদস্যা বেড়ে হয়েছে দুই শতাধিক। তাঁদের মধ্যে ১৫০জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান। পুজোর জন্য গত এক মাসের টাকা দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও সাহায্য করেছেন। স্থানীয় বাশুলি মন্দির প্রাঙ্গণে মণ্ডপ গড়ে পুজো হচ্ছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। উপসঙ্ঘের সম্পাদিকা স্বপ্না আচার্য, সদস্যা মহুয়া বারিক, বাসন্তী পাত্র, সীমা রঞ্জিত, পুতুল আচার্য, চামেলি গুছাইত, কাবেরী রঞ্জিত, কমলা রঞ্জিত সহ সকলেই পুজোর আয়োজনে হাত লাগিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে পুজোর যাবতীয় ব্যবস্থা, অতিথি আপ্যায়ন, প্রসাদ বিতরণ­­-সবকিছুই মহিলারাই পরিচালনা করেন। তবে পুরুষরাও সবরকম সহযোগিতা করেন। উপসঙ্ঘের সভানেত্রী টুম্পা রঞ্জিত বলেন, একদিন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আলোচনা চলাকালীন এই প্রকল্পে পাওয়া টাকার কিছু অংশ দিয়ে মা লক্ষ্মীর আরাধনা ভাবনা আসে। এতে মায়ের পুজো তো হবেই। আবার রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পের টাকা পেয়ে যে আমরা উপকৃত হয়েছি এবং তার কিছু অংশ দিয়ে পুজোর আয়োজন করছি সেই বিষয়টিও সকলের সামনে তুলে ধরতে পারব। ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে মহিলারা এগিয়ে আসেন। সম্পাদিকা স্বপ্না আচার্য বলেন, নেগুয়া এলাকায় মহিলাদের পরিচালনায় দুর্গাপুজো হয়। কিন্তু লক্ষ্ণীপুজোর চল ছিল না। লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দ ভাগ করে নিই।
  • Link to this news (বর্তমান)