সংবাদদাতা, করিমপুর: মা নস্করীর প্রতিমা বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে মেলা শেষ হয়ে গেলেও ভাঙা মেলায় কাঠের আসবাবপত্র কেনাকাটা চলছে জোরকদমে। হোগলবেড়িয়ার বহু প্রাচীন নস্করী মায়ের পুজো উপলক্ষ্যে বিরাট মেলা বসে। সেই মেলায় বিভিন্ন খাবার থেকে নাগরদোলা, লোহার জিনিস থেকে মনোহারী দোকানের পাশাপাশি বিরাট এলাকাজুড়ে কাঠের জানালা, দরজা, টেবিল, চেয়ার, খাট কিংবা অন্যান্য আসবাব বিক্রি হয়। করিমপুর ও আশপাশের জেলার বহু মানুষ অপেক্ষায় থাকেন এই মেলা থেকে আসবাব কেনার জন্য। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অনেক বছর আগে থেকে এই মেলায় কাঠের আসবাব বিক্রি হয়ে আসছে। একটা সময় ছিল যখন এলাকার গরিব মানুষের দিনমজুর খেটে পঞ্চাশ টাকাও আয় হতো না। সেই সময়ে অনেককে মাটির ঘরের মেঝেতে শুয়ে ঘুমোতে হতো। তখন একটা কাঠের চৌকি কেনাও সম্ভব ছিল না অনেকের। এই মেলায় কম দামে চৌকি কেনার সুযোগ হতো। হোগলবেড়িয়ার প্রিয়তোষ সরকার বলেন, খুব ছোট থেকেই এই মেলায় প্রধান আকর্ষণ কাঠের জিনিসপত্র। কাঠের জিনিস কেনার হলে অনেকেই সস্তায় এই মেলা থেকে কিনবেন বলে অপেক্ষায় থাকেন। আগে এই মেলা বড় হলেও জায়গার অভাবে এখন কিছুটা ছোট হয়েছে। কিন্তু আসবাবপত্রের বিক্রি বেড়েছে। সোমবার থেকে মেলার অন্যান্য দোকানপাট উঠে গেলেও কাঠের আসবাব কেনাকাটা চলছে। ভালো বিক্রি হওয়ায় মঙ্গলবারও কারখানা থেকে মাল আনছেন ব্যবসায়ীরা। চাকদহ থেকে আসা কাঠের ব্যবসায়ী দীপক সাহা বলেন, এখানে নদীয়া মুর্শিদাবাদের বহু মানুষ নস্করী মাকে দেখতে আসেন। তাঁদের অনেকে কাঠের মেলায় ভিড় করেন। কম দামে কাঠের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনেন। মহাষষ্ঠী থেকে মেলা শুরু হলেও কাঠের আসবাব বিক্রি হয় নবমী থেকে।