• গতবছরের একাদশীর তুলনায় রোগীর সংখ্যা বাড়ল আউটডোরে
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: আন্দোলন ও অনশনে গত দু’মাস ধরে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে অচলাবস্থা চলছে। এই পরিস্থিতিতে  সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে নার্সিংহোমে রোগীর স্রোত লক্ষ্য করা গিয়েছে। এমনকী, দুর্গাপুজোর পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ফলে হু হু করে কমেছে রোগীর সংখ্যা। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। গতবছর একাদশীর তুলনায় এবার বাঁকুড়া মেডিক্যালের আউটডোরে ৮০০রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবছর বিজয়ার পর ২৫অক্টোবর পুরোদমে আউটডোর চালু হয়। ওইদিন আউটডোরের বিভিন্ন বিভাগে মোট  ২৮৫৪জন চিকিৎসা করিয়েছিলেন। এবছর সোমবার ছিল একাদশী। এবার আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছেন ৩৬৬৪জন।  কলকাতার আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ২৬জন জুনিয়র চিকিৎসক মঙ্গলবার অনশন করেন। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনশন চলে। সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে বাঁকুড়াতেও আমরণ অনশন শুরু হতে পারে বলে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন।  


    বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি অর্পণকুমার গোস্বামী বলেন, পুজোর সময় একমাত্র অষ্টমীর দিন আউটডোর বন্ধ থাকে। তবে বাকি দিনগুলিতে সেভাবে রোগী আসে না। একদশীর দিন থেকেই মূলত রোগীর সংখ্যা বাড়ে। গতবারের তুলনায় এবারের একাদশীতে ৮১০জন রোগী বেশি চিকিৎসা করিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলির তুলনায় বাঁকুড়ার চিত্রটা বরাবর আলাদা ছিল। এই জেলায় রোগী ও রোগীর পরিজনদের সঙ্গে চিকিৎসকদের সুসম্পর্ক রয়েছে। ফলে এখানে আন্দোলনের পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকরা বর্তমানে আউটডোর, ইনডোর, অপারেশন থিয়েটার ও জরুরি বিভাগে পরিষেবা দিচ্ছেন। কোথাও রোগীদের চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে না।   


    উল্লেখ্য, রাজ্যের অন্যতম প্রান্তিক দুই জেলা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বহু মানুষ সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। পার্শ্ববর্তী ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেকেও আত্মীয় বাড়িতে থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসা করান। গত ১০বছরে ওই হাসপাতালে উন্নতমানের যন্ত্র বসানো হয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকও রয়েছেন। ফলে জটিল অস্ত্রোপচার থেকে দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের আর কথায় কথায় কলকাতায় ছুটতে হয় না। এহেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অচল হয়ে পড়লে গরিবদেরই ভোগান্তি বৃদ্ধি পায়।
  • Link to this news (বর্তমান)