• পুজোর ক’দিন হাতির উপদ্রব কম, গভীর রাত পর্যন্ত আনন্দে মাতল ঝাড়গ্রামবাসী
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: পুজোর কয়েকদিন হাতির হাত থেকে নিস্তার পেলেন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দারা। ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে হাতির অবস্থান হাতে গোনা। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মাত্র ১-৫টি হাতি ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন রেঞ্জ এলাকায় অবস্থান করছিল বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে শহরের তো বটেই, গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজনও হাতির আতঙ্ক দূরে সরিয়ে দিয়ে নির্বিঘ্নে পুজোয় মেতে ওঠে। 

    ঝাড়গ্রাম ব্লকের বিরিহাঁন্ডি, বালিভাসা, মানিকপাড়া, বিনপুর-১ ব্লকের লালগড়ের বিভিন্ন এলাকা, বিনপুর-২ ব্লকের বেলপাহাড়ী সহ প্রত্যন্ত এলাকায় বাসিন্দারা পুজো ঘিরে আনন্দে মাতেন। ঝাড়খণ্ড সীমানার জামবনীর বিভিন্ন এলাকায় পুজোর অনুষ্ঠান ঘিরে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। পুজোর কয়েকদিন যাতে হাতির তাণ্ডবে অশান্তি না হয় তারজন্য বনবিভাগ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। হাতি অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ তিন ধরনের ট্র্যাকার বাহিনী  মোতায়েন করা হয়েছিল। ঝাড়গ্রামের তিনটি রেঞ্জ এলাকার মধ্যে যোগাযোগ দৃঢ় করা হয়। ফলে পুজোর কয়েকটা দিন গত ৮ থেকে ১৪ অক্টোবর মাত্র ১-৫টি হাতির অবস্থান ছিল বলে বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    এবারের পুজোয় ঝাড়খণ্ড সীমানার জামবনীর প্রত্যন্ত এলাকার পড়শুলি গ্রামের সর্বজনীন দুর্গোৎসব ও কেন্দডাংরি গ্রামের সর্বজনীন দুর্গোৎসবের অনুষ্ঠান মেলার আকার ধারণ করেছিল। এলাকায় হাতি না থাকায় গভীর রাত পর্যন্ত পুজা মণ্ডপগুলিতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিরিহাঁন্ডি সর্বজনীন দুর্গোৎসবের পুজোয় হাজার হাজার মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। জেলা শহর থেকে প্রতিটি ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার পুজাগুলিতে এবার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ঝাড়গ্রামের ডিএফও ওমর ইমাম বলেন, পুজোর জন্য এবারে বন বিভাগ থেকে বিশেষ কয়েকটি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তিনটি রেঞ্জের জন্য তিন- চারটে গাড়ি মোতায়েন রাখা হয়েছিল। হাতি অধ্যুষিত এলাকায় মনিটরিংয়ের জন্য তিন ধরনের ট্র্যাকার টিম মোতায়েন রাখা হয়েছিল। হাতি উপদ্রুত এলাকার জনবহুল পুজা মণ্ডপ ও জঙ্গলের মাঝে রাস্তায় বনবিভাগের কর্মী ও ট্র্যাকার টিম দিয়ে সব সময় কড়া পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ঝাড়খণ্ড বর্ডারে ১৪টি হাতির একটি দলকে পুজোর কুড়ি দিন আগে থেকে নজরে রাখা হয়েছিল। ফলে সেই দলটি এবারে ঝাড়গ্রাম এলাকায় ঢুকতে পারেনি। জনবহুল পুজো মণ্ডপগুলিতে ফ্লেক্স টাঙিয়ে মানুষকে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। ফলে এবারে পুজোয় হাতির সংঘাত অনেকটাই এড়ানো গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)