• ৩০ বছর ধরে লক্ষ্মী নারায়ণ পূজিত হচ্ছেন কালিয়াগঞ্জের পূর্ব ভাণ্ডারে
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: জমি চাষের সময় লাঙলের ফলায় উঠে আসে কষ্টি পাথরের লক্ষ্মী নারায়ণের  মূর্তি। তারপর থেকেই কালিয়াগঞ্জের পূর্ব ভাণ্ডার এলাকার বাসিন্দারা সেই জমিতেই মন্দির তৈরি করে ঘটা করে লক্ষ্মী নারায়ণের পুজো করে আসছেন। ৩০ বছর ধরে লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যায় ঘটা করে পুজো করা হয়। সপ্তাহ ব্যাপী চলে বাউল উৎসব, মেলা সহ বিভিন্ন কর্মসূচি।  লক্ষ্মী নারায়ণ পুজো কমিটির সম্পাদক নাটু বর্মন বলেন, গোকুল চন্দ্র বর্মনের জমিতে নরেশ বর্মন চাষ করছিলেন। জমিতে চাষ করার সময় নরেশবাবুর লাঙলের ফলায় আটকে যায় একটি পাথর। সঙ্গে সঙ্গে তিনি কোদাল দিয়ে পাথরটিকে তোলেন। পাথরটি জল দিয়ে পরিষ্কার করলে দেখা যায় কালো পাথরের লক্ষ্মী নারায়ণের মূর্তি। মন্দির কমিটির সভাপতি অশোক মজুমদার বলেন, প্রশাসন এই মূর্তি উদ্ধার করে নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দারা তা আটকে দেন। এর পরেই এলাকাবাসীর দাবি মতো মন্দির তৈরি করে ঘটা করে শুরু হয় পুজো। প্রতি বছর চাঁদা তুলে পুজোর আয়োজন করা হয়। লক্ষ্মীপুজোর দিন বিকেল থেকেই ভক্তরা মন্দিরে ভিড় জমান। তবে এলাকার মহিলারা নিজেদের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো সেরে মন্দিরে এসে পুজো করেন। এলাকার বাসিন্দারা পুজো উপলক্ষ্যে নিরামিষ খান। 

    এই মন্দিরে পুজো দিলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্তরা পুজো দিতে আসেন। বর্তমানে জোরকদমে চলছে পুজোর প্রস্তুতি।  মন্দির সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি,  মন্দির সংলগ্ন এলাকাও সাজানো হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাউল শিল্পীরা আসবেন।  সেই সঙ্গে পুজোকে কেন্দ্র করে মেলা দেখতেও মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারা ভিড় জমান। স্থানীয় গৃহবধূ টুলটুলি বর্মন বলেন, মন্দির পরিষ্কার করে পুজোর সমস্ত আয়োজন করা হচ্ছে। নাড়ু, ফল, ফুল সহ সব ব্যবস্থা মহিলারাই করেন। নিজেদের বাড়িতে পুজো দিয়ে গ্রামের মহিলারা মন্দিরে একত্রিত হন। মন্দিরে অঞ্জলি দিয়ে তবেই আমাদের পুজো শেষ হয়। লক্ষ্মী নারায়ণের পুজো আমাদের গ্রামে উৎসব হিসেবে পালন হয়। আমরা সারা বছর এই পুজোর অপেক্ষায় থাকি।
  • Link to this news (বর্তমান)