• গ্লেক্স ২০২৫: মহাকাশ চর্চায় সুবর্ণ সুযোগ পড়ুয়াদের সামনে, গবেষণাপত্র আহ্বান ইউজিসির
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এখন দেশের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের সামনে যেকোনও প্রযুক্তি বা বিজ্ঞান চর্চা ক্ষেত্র থেকেই মহাকাশ গবেষণায় শরিক হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসে গিয়েছে। আগামী বছর নয়াদিল্লিতে ৭ থেকে ৯ মে এদেশে আয়োজন হতে চলেছে গ্লোবাল স্পেস এক্সপ্লোরেশন কনফারেন্স (গ্লেক্স ২০২৫)। তাতে গবেষণাপত্রের নির্যাস জমা দেওয়ার জন্য দেশের শিক্ষার্থী, গবেষক এবং শিক্ষকদের আহ্বান জানাল ইউজিসি। পেপারের গুণগত মান ভালো হলে সবার কাছেই সর্বোচ্চ স্তরে মহাকাশ গবেষণার দরজা খুলে যেতে পারে। এই বিষয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে যথাযথ প্রচারের আবেদন জানিয়েছে ইউজিসি।

    মহাকাশ গবেষণার নানা ক্ষেত্র রয়েছে। সেখানে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাস্ট্রোনমি, অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের পাশাপাশি মেকানিক্যাল, মেটালার্জিক্যাল বা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশেষজ্ঞও প্রয়োজন। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি বা বায়োলজির মতো বিষয়ের গবেষকরাও একইরকমভাবে অপরিহার্য। অর্থাৎ, মহাকাশ গবেষণা বিজ্ঞানের সমস্ত শাখার সম্মিলিত ফল। তাই সম্ভাবনা রয়েছে সব ক্ষেত্রেই। এই কনফারেন্সের আয়োজক ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল ফেডারেশন (আইএএফ)। এবছরের কনফারেন্সের প্রধান উদ্যোক্তা ইসরো। অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (এএসআই) সহকারী উদ্যোক্তার দায়িত্বে রয়েছে। আইএএফের সদস্য হিসেবে ৭৮টি দেশ থেকে ৫১৩ জন সদস্য রয়েছেন। ভারতও আইএএফের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাই এদেশের উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে এটাও একটা সুবর্ণ সুযোগ।

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও বেশ কয়েকবছর ধরেই বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে দিয়ে নিজেদের গবেষণা করায়। যাদবপুর বা কলকাতার মতো রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও এই সংক্রান্ত জরুরি গবেষণা হয়। যদিও, গোপনীয়তার কারণে সমস্ত কিছু প্রকাশ্যে আসে না। ফলে, এই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক বা পড়ুয়াদের কাছ থেকে উন্নত গবেষণার দিশা মিললে তাঁদের কেরিয়ারও নয়া মোড় নেবে।

    গবেষণাপত্র নেওয়া হবে মহাকাশযান নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মঙ্গল ও চাঁদে অভিযানের বিষয়ে। এই তালিকায় আছে আরও দূরের গ্রহ, নক্ষত্র বা উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ ও সেগুলি নিয়ে গবেষণা। দীর্ঘ মহাকাশযাত্রা, স্পেস স্টেশনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে কোনও গ্রহের মাটিতে বিভিন্ন খোঁজ চালানোর মতো বিষয়গুলি। সব মিলিয়ে রয়েছে ১৫টি ক্ষেত্র। এই কনফারেন্সে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা ন্যূনতম ৬০ ইউরো আয়োজকদের অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েই গবেষণাপত্র পাঠাতে পারবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)