• আড়েবহরে বাড়ছে জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা, চন্দননগরে এখন সাজসাজ রব
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়েছে আগেই। এবার সেই শোভাযাত্রা আড়েবহরে বাড়ছে। স্বভাবতই উল্লসিত চন্দননগরের কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি। কমিটির একাংশের দাবি, এবার রেকর্ড সংখ্যক পুজো কমিটি শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। একইসঙ্গে বাহনের সংখ্যাও বাড়ছে। তাতে শোভাযাত্রার জৌলুস আরও বাড়বে। কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় এবার শোভাযাত্রায় অংশ নিতে চলা পুজো কমিটির সংখ্যা ১০টি বাড়বে। সেইসঙ্গে শোভাযাত্রার বহর বাড়াতে থাকবে ১৫টি অতিরিক্ত ১৫টি লরি। যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। ১১ নভেম্বর চন্দননগরের আলোকময় পথে ওই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দেখা যাবে।

    চন্দননগরের কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, ইতিমধ্যেই গঙ্গাপাড়ের ঐতিহ্যবাহী শহরে পুজোকে ঘিরে সাজসাজ রব পড়ে গিয়েছে। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা বিশ্বমাঝে তার স্থান করে নিয়েছে। এই শোভাযাত্রা এবার আড়েবহরে আরও অনেকটা বড় হবে। নতুন এক ঝাঁক পুজো উদ্যোক্তা এবার শোভযাত্রায় অংশ নেবে। ফলে, যুক্ত হবে নতুন মাত্রা। উদ্যোক্তাদের উৎসাহই প্রমাণ করছে, শোভাযাত্রার জনপ্রিয়তা কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্মকর্তা তো বটেই, ঐতিহ্যবাহী শহরের নাগরিক হিসেবেও গর্ব বোধ করছি। চন্দননগরের বাসিন্দা তথা চিত্রশিল্পী সজল মিত্র বলেন, চন্দননগর আমার শহর, এটা ভাবলেই একটা শিহরণ হয়। বাঙালির একটি ছোট জনপদের উৎসব আগেই বিশ্বজনীন হয়েছে। এবার তা জনপ্রিয়তার নতুন মাইলফলক তৈরি করবে। জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা শুধু উৎসব নয়, তা শহরের সমাজ ও অর্থনীতির ক্ষেত্রেও একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

    চন্দননগরের শতাব্দী প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজোকে এক ভিন্ন উচ্চতায় বসিয়েছে বিসর্জনের শোভাযাত্রা। ২০২৪ সালে সেই শোভাযাত্রা ছুঁয়ে ফেলবে আরেক উচ্চতা। সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় শোভাযাত্রা এবার হুগলির সাবেক ফরাসি কলোনির রাজপথে দেখা যাবে। মূলত, চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর জুড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর ব্যাপ্তি। গত বছর শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল ৫৯টি পুজো কমিটি ও তাদের ২৩০টি বর্ণময় সাজের লরি। এবার পুজো কমিটির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৯টি। আর সাজানো লরি থাকবে ২৪৫টি। কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনস্ত পুজো কমিটির সংখ্যা ১৭৭টি। অর্থাৎ প্রায় ৪০ শতাংশ পুজো কমিটিই এই শোভাযাত্রায় রাজপথে নামবে। তৈরি হবে নতুন রেকর্ড।
  • Link to this news (বর্তমান)