তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য কৃষ্ণনগরে। বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। ওই তরুণীর দেহ অর্ধদগ্ধ অবস্থায় ছিল বলেও জানা গিয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।বুধবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানার দুর্গা বারোয়ারী এলাকা থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে তরুণীর আধা পোড়া মৃতদেহ দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, অন্য জায়গায় তরুণীকে হত্যা করা দেহ ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়দের অনুমান, তরুণীকে ধর্ষণ করে তাঁর মুখে আগুন ধরানো হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধ্যায় আনুমানিক ৭টার দিকে সে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। তরুণীর বাড়ি কৃষ্ণনগরের আনন্দময়ী তলা বালকেশ্বরী বারোয়ারির কাছে। ঘটনায় এক যুবক-সহ তার বাবা-মাকে আটক করেছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তরুণী নাচ, গান, পড়াশোনা এবং কম্পিউটার-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ ছিল। এই ঘটনার পেছনে ওই যুবকের হাত রয়েছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকওয়ানা মিতকুমার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মৃতদেহ শনাক্ত করেছে তাঁর পরিবার। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়েটির বন্ধুকে ও তার মা-বাবাকে আটক করা হয়েছে।