ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ নম্বর ধারা (সাবেক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা) মেনে এই নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। কোন কোন এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে তা-ও বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, শ্যামপুকুর, উল্টোডাঙা ও টালা থানা এলাকায় কয়েকটি রাস্তায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে— বেলগাছিয়া রোড, জেকে মিত্র রোড ক্রসিং, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে গোটা দেশে এই ঘটনার প্রতিবাদের আঁচ পড়েছে। বিদেশের মাটিতেও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই আরজি কর এবং তার সংলগ্ন এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। গত ১৪ অগস্ট রাতে ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচির মাঝেই ঘটে যায় এক বিশৃঙ্খল ঘটনা। বেশ কয়েক জন আরজি করে ঢুকে তাণ্ডব চালান। ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায়। অভিযোগ, সে সময় পুলিশ কার্যত দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল। যদিও পুলিশ পরে এই হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেফতার করে। তার পর থেকেই পুলিশ ওই এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করে। আরজি কর এবং তার আশপাশের এলাকায় বেআইনি জমায়েত রুখতে একাধিক পদক্ষেপও করে পুলিশ। মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশও।