• আরজি কর আন্দোলনের জেরে চিকিত্‍সায় গাফিলতি? দিদির সামনেই ছটপট করে প্রাণ গেল ভাইয়ের...
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • বিধান সরকার: ভর্তি নিতে বললে কর্ণপাত করেনি হাসপাতাল। চোখের সামনে ভাইটা মারা গেল, ডুকরে কাঁদলেন আয়া দিদি। চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃত যুবকের নাম দীপক চৌধুরী (৩৪)। বাড়ি ভদ্রেশ্বর থানার তেলিনিপাড়ায়।

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুকে ব্যথা নিয়ে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন দীপক। সেই সময় ইমার্জেন্সিতে থাকা চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে ইনজেকশন দিয়ে ছেড়ে দেন। বুধবার সকালে আবার বুকে ব্যথা অনুভব করলে আউটডোরে ফের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় তাকে। চিকিৎসক পরীক্ষা করার পর ওষুধ লিখে দেন। যুবকের দিদি চন্দননগর মহকুমা হাসপাতলে আয়ার কাজ করেন। তিনি তাঁর ভাইকে ভর্তি নেওয়ার কথা বললে তাতে কান দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎই অসুস্থ বোধ করে দীপক। তৎক্ষণাৎ তাঁকে ফের হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে তাঁকে।

    পরিবারের অভিযোগ, গতকাল থেকে বারংবার চিকিৎসকে জানিয়েছিলেন হাসপাতালে ভর্তি রাখার জন্য। কিন্তু ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বুধবারেও রোগীকে চিকিৎসক ভর্তি নেয়নি বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করালে এই ঘটনা ঘটত না। যদিও কর্তব্যরত চিকিৎসক কুন্তল সাহা বলেন, 'গতকাল কি হয়েছে বলতে পারব না। আজ রোগীটি নিজেই হেঁটে আমার কাছে এসেছিল চিকিৎসার জন্য। যতটুকু চিকিৎসার প্রয়োজন ততটুকুই আমরা করেছি। এর আগেও তাকে টিবির পরীক্ষার জন্য বলা হয়েছিল। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। তাই রিপোর্ট নিয়ে আসার কথা বলেছিলাম। কিন্তু হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় রোগীটি। চিকিৎসায় কোন গাফিলতি হয়নি।'

    এই ঘটনার পর পরিবারের তরফে চন্দননগর থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। মৃতের দিদি রীনা চৌধুরী বলেন, 'হাসপাতালে ভর্তি করলে হয়ত ভাইটা আরও কয়েক দিন বেঁচে যেত।' আর জি কর নিয়ে আন্দোলনের জেরে চিকিৎসায় গাফিলতি হচ্ছে কিনা সে প্রশ্নে রীনা ও তার বান্ধবী বলেন, 'আমরা কাজ করি আমরা বলতে পারব না যে চিকিৎসায় হচ্ছে কি হচ্ছে না। তবে আমাদের ভাইয়ের মতো আর কেউ যেন এভাবে মারা না যায়। এটা হাসপাতালের দেখা উচিত।'

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)