ঘটনাটি ঠিক কী? হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা কাশীনাথ পাণ্ডা। গত পাঁচ ধরে ব্যারাকপুর কমিশারেটের অধীনে বেলঘড়িয়া থানায় অস্থায়ী হোমগার্ড পদে চাকরি করতেন তিনি। ওই যুবকের দাবি, গত ২১ অক্টোবর ফেসবুকে আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে একটি গানের ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। একটি ভক্তিগীতিকে কিছুটা পরিবর্তন করে নিজে থেকে শেষের কয়েকটা লাইন জুড়ে দেন এবং তা গানের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। লাইনটি ছিল, 'মা তুমি খাঁড়া ধরো তবে বিচার পাবে'।
অভিযোগ, ফেসবুকে ওই পোস্ট করার পর থেকে কাশীনাথকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন ও হেনস্থা করতে শুরু করেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পদস্থ পুলিস আধিকারিক। সঙ্গে হুমকিও! পোস্টটি ডিলিট করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু পোস্টটি ডিলিট করেননি তিনি। এরপর প্রথমে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ এবং শেষে ১০ অক্টোবর কোন কারণ ছাড়াই চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয় অস্থায়ী হোমগার্ডকে।
১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে মামলা করেন কাশীনাথ। সেদিনই মামলাটির শুনানিও হয় বিচারপতি পার্থসারথি সেনের এজলাসে। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, 'আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়ে ওই হোমগার্ডকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক অন্যায়ের কেন প্রতিবাদ করা যাবে না? এটা পুরোপুরি মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ'। পরবর্তী শুনানি ১৮ই অক্টোবর।
ব্য়ারাকপুর কমিশনারেট সূত্রে অবশ্য় খবর, আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে পোস্টের জন্য় নয়, বরং কর্তব্যে গাফিলতির কারণেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বেলঘড়িয়া থানার হোমগার্ড কাশীনাথ পাণ্ডাকে।