অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তবে এই ঘটনার কথা প্রকাশ হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পক্সো ধারায় মামলা রুজু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত্রি নটা নাগাদ নরেন্দ্রপুর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করে এক নাবালিকার পরিবার। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসীরা। পাশাপাশি বুধবার সকালেও আরও এক নাবালিকার পরিবার থানায় দারস্ত হন। নতুন করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর অভিযুক্ত প্রৌঢ় এলাকার একাধিক নাবালিকা মেয়েকে খাবার ও টাকার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে যৌন নির্যাতন করত। এক নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ায়, পরিবারের লোকজন জানতে পারে বিষয়টি। এলাকায় এই খবর জানাজানি হতেই আরো বেশ কয়েকজন নাবালিকা তাদের পরিবারকে তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতনের কথা জানায়। বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ২টি অভিযোগ জমা হয়েছে। অভিযুক্তকে আজ বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়। পাশাপাশি ওই ২ নাবালিকার ইতিমধ্যেই শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে, সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তিনি বলেন তাকে ফাঁসানো হয়েছে। ওইসব শিশুরা তার বাড়িতে আসতো। কাউকে ডেকে আনার কোনও বিষয় নেই। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিস জেলার ডিএসপি ক্রাইম ফয়সল বিন আহমেদ।
এক শিশুর মা সংবাদ মাধ্যমে জানান, কিছু জানতাম না। বাচ্চাদের ঘরে রেখে কাজে চলে যাই। আমার ভাইঝি বলছে পেটে ব্য়থা করছে। ওকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ভাইঝি বলল ওই পৌঢ় বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর মুখ চেপে অজ্ঞান করে নির্যাতন করে। হুমকি দেয়, বাড়িতে বললে গলা কেটে নদীতে ফেলে দেব। এনিয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। আমাদের বলেছে টেস্ট করতে হবে।