সিতাইয়ের ‘আক্রান্ত’ সন্ন্যাসীর সঙ্গে ফোনে কথা, পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
প্রতিদিন | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
বিক্রম রায়, কোচবিহার: সিতাই রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সেবাশ্রম মঠের ‘আক্রান্ত’ মহারাজের সঙ্গে কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার মঠে যান উদয়ন গুহ। ‘আক্রান্ত’ সন্ন্যাসীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সন্ন্যাসীকে ফোনে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেন। সন্ন্যাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন ফোনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনার উপর এরকম হয়েছে, আমার এত খারাপ লেগেছে। আমি টিভিতে সেদিন দেখছিলাম। উদয়নকে সেদিনই বলেছিলাম, তুমি যাও।” এর পর সন্ন্যাসী বলেন, “আপনার প্রেরিত ভিক্ষা আমি পেয়েছি মা।” মমতা বলেন, “এটা ভিক্ষা বলবেন না, আমাদের প্রণাম।” সন্ন্যাসী বলেন, “কাল প্রসাদ তৈরি করে সকল গ্রামবাসীকে দেব।” সব শেষে মমতা বলেন, “আপনি আপনার প্রণাম নেবেন। ভালো থাকবেন। আমি কখনও গেলে, আপনার সঙ্গে অবশ্যই দেখা করব। কোনও সমস্যা হলে উদয়ন তো আছে, ওঁকে জানাবেন।” মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আপ্লুত ‘আক্রান্ত’ সন্ন্যাসী।
উল্লেখ্য, রবিবার বিকেলে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সেবাশ্রম মঠে যান অনন্ত মহারাজ। সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন ছিলেন। আশ্রমে একাই ছিলেন স্বামী বিজ্ঞদানন্দ। দুজনের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা চলাকালীন মতানৈক্য শুরু হয়। তখনই সন্ন্যাসীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন অনন্ত মহারাজ। এর পর মারধরও করেন বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের দাবি, “কে অনন্ত মহারাজ! আমরা চিনি না। কিন্তু স্বামী বিজ্ঞদানন্দ মহারাজকে চিনি, জানি। তাঁকে কেন হেনস্তা করা হল?” অনন্ত মহারাজের ফাঁসি দাবি করেন তাঁরা। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি, অভিযুক্তকে অবশ্যই স্বামীজির পা ধরে ক্ষমা চাইতে হবে। এ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত অনন্ত মহারাজের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।