সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আড়াল থেকে নয়, এবার সরাসরি নামুন ভোটের লড়াইয়ে। একযোগে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের এবং সিপিএমকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। মূলত সিপিএমকে উদ্দেশ্য করে কুণালের কটাক্ষ, “মুখে তো অনেক হল, এবার সরাসরি ভোটের লড়াইয়ে আসুন।”
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছে কিছু বাম ও অতিবাম মনস্ক সিনিয়র চিকিৎসকদের উসকানি। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল। মঙ্গলবার ধর্মতলায় যে দ্রোহ কার্নিভাল হয়েছে, সেটাও বামেদের প্রত্যক্ষ মদতে হয়েছে বলেই অভিযোগ শাসকদলের। দ্রোহ কার্নিভালের পরদিনই কুণাল সরাসরি বামেদের চ্যালেঞ্জ করলেন, এভাবে মুখোশের আড়াল থেকে লড়াই নয়, লড়তে হলে সরাসরি আসুন ভোটের ময়দানে।
এদিন সোশাল মিডিয়া পোস্টে কুণালের বার্তা, “‘ভোটের কার্নিভালে’ আসুন। মুখে তো অনেক হল। এবার জনতার দরবারে বিচার হোক।” সরাসরি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে কুণালের চ্যালেঞ্জ, “আসন্ন উপনির্বাচনে তিন-চারজন উসকানিদাতা সিনিয়র ডাক্তার বা অতিবিপ্লবী নব্য নেতা কোনও জুনিয়র ডাক্তার সিপিএমের প্রার্থী হয়ে দেখান। ফেসবুকে, সংবাদমাধ্যমে সরকারবিরোধিতার সব বুলি, সরাসরি মানুষের সামনে প্রার্থী হিসাবে লড়াইয়ে আসুন।” সিপিএমকেও এদিন একহাত নিয়েছেন তৃণমূল নেতা। বামেদের উদ্দেশে কুণালের চ্যালেঞ্জ, “নিজেরা শূন্য হওয়ার পর এখন যাদের মুখোশের আড়ালে লড়ছেন, ক্ষমতা থাকলে সেই গোঁসাই, বাঁড়ুজ্জে, চিমটাদের প্রার্থী করে লড়াই করুন। সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়ায় লড়াই কেন, মানুষের কাছে আর একবার নিজেদের ওজনটা যাচাই করুন। কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী, হয়ে যাক ‘ভোটের কার্নিভাল।”
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। আর জি কর কাণ্ডের পর এটাই প্রথম নির্বাচন রাজ্যে। আর জি কর কাণ্ড এবং পরবর্তী রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কী প্রভাব বঙ্গ রাজনীতিতে পড়েছে সেটা বোঝা যাবে ওই উপনির্বাচনেই। কুণালের চ্যালেঞ্জ, সেই উপনির্বাচনেই প্রার্থী হয়ে জনতার রায় নিন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা।