• নদীর চরে রক্তের চাপ, কিছুটা দূরেই পুঁতে রাখা তরুণীর দেহ, পুরুলিয়ায় চাঞ্চল্য
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • ঘাটের পাশে রক্তের দাগ। কিছুটা দূরেই নদীর চরে পুঁতে রাখা তরুণীর দেহ। এমনই অবস্থায় বুধবার পুরুলিয়ার বরাবাজারের সিন্ধ্রি এলাকার তসরুবাকি ঘাটে এক অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হল। তাঁর দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন দেখা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে। তবে তাঁকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কিনা বা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের পরই সেই বিষয়টি বোঝা যাবে। আপাতত তরুণীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷

    কিন্তু যেভাবে ওই তরুণীর দেহ নদীর চরে পুঁতে রাখা হয়েছিল, তা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে কুমারী নদীর তসরুবাকি ঘাটের পাশে রক্তের দাগ দেখতে পান। সেটা দেখেই সন্দেহ হয়েছিল তাঁদের। রক্তের দাগ অনুসরণ করে এগিয়ে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান যে বালি দিয়ে একটা জায়গা উঁচু করে রাখা হয়েছে। তাতেই পুঁতে রাখা ছিল তরুণীর মৃতদেহ।

    মৃৃতদেহ দেখতে পেয়ে বরাবাজার থানাকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে বালি সরিয়ে দেহ উদ্ধার করেছে। তরুণীর পরনে জামা এবং জিন্সের প্যান্ট ছিল। গলায় জড়ানো ছিল ওড়না। মুখে কয়েকটি ক্ষতচিহ্ন দেখা গিয়েছে।প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, তরুণীর বয়স কুড়ির কোঠায় হবে বা একটু বেশি হতে পারে। ২০ থেকে ২২-র মধ্যে হতে পারে তাঁর বয়স। তরুণীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। সেইসব তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। 

    তারইমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য তরুণীর দেহ পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ যেভাবে নদীর চরে রক্তের দাগ ছিল, তাতে পুলিশ অনুমান করছে যে তরুণীকে অন্যত্র কোথাও খুন করা হয়েছিল। তারপর রাতের অন্ধকারে নদীর চরে পুঁতে দিয়ে যাওয়া হয় তরুণীর মৃতদেহ। 

    পুরুলিয়ার সেই ঘটনার মধ্যেই নদিয়ার কৃষ্ণনগরে পুলিশ সুপারের অফিসের কাছ থেকে একজন তরুণীর অর্ধনগ্ন দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যে প্রমাণ লোপাটের জন্য তরুণীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তরুণীর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)