• কালীপুজোর প্রাক্কালে বঙ্গ–সফরে আসছেন অমিত শাহ, কীসের প্রস্তুতি শুরু করবেন?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • দীপাবলির প্রাক্কালে রাজ্যে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ২৪ অক্টোবর কলকাতায় সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বলে সূত্রের খবর। দুর্গাপুজোর সময় আসার কথা ছিল শাহের। কিন্তু তিনি তখন আসতে পারেননি। তাই জেপি নড্ডাকে বাংলায় পাঠিয়েছিলেন। অমিত শাহের বঙ্গ–সফরের মধ্যে দিয়েই বাংলায় বিজেপির অন্দরে রদবদল হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। আর গোটা দেশে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার জেরে এই কর্মসূচিতে কিছুটা ছাড় পেয়েছিলেন বাংলার বিজেপি নেতারা। এবার অমিত শাহ সেই কর্মসূচিতে গতি আনতে এবং নেতাদের বার্তা দিতে আসছেন।

    আগামী ২৪ অক্টোবর সল্টলেকের ইজেডসিসি’‌তে সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে বিজেপির বলে জানা যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে সেখানে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। বঙ্গ–বিজেপির এক সাংসদ সূত্রে খবর, সল্টলেকের বৈঠকে অমিত শাহের হাজির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ সেখানে বঙ্গ–বিজেপির রদবদল নিয়ে আলোচনা হবে। তখন বাছাই করা নামগুলিতে সিলমেহর দেবেন তিনি। তাই সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ অক্টোবর অমিত শাহের কলকাতা সফর ঘটবে।

    ২০২১ সালে এবং ২০২৪ সালে যে দুটি নির্বাচন হয়েছে তাতে বিজেপির স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছে। বাংলার মানুষ তাঁদের স্বপ্নপূরণ হতে দেয়নি। তাই বাংলায় পা রাখছিলেন না অমিত শাহ। এবার আসছেন। কারণ এখন আরজি কর হাসপাতাল ইস্যুকে কাজে লাগাতে হবে। তার উপর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে। তা নিয়েও স্ট্র‌্যাটেজি ছকে দেবেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপির সাংগঠনিক সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক ৬ বছর অন্তর দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান করা নিয়ম। ১৬ অগস্ট দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা সদস্য সংগ্রহ অভিযান করার কথা ঘোষণা করেন। তারপর সেটা বাংলায় কেমন এগিয়েছে সেটা সরেজমিনে দেখে নিতে চান অমিত শাহ।

    এবার বাংলায় এই কর্মসূচির দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। দুর্গাপুজোর পর এই কর্মসূচিতে জোর দিতে চান তিনি। এবার সেটা শুরু হতে চলেছে। মঙ্গলবার এই নিয়ে একটি বৈঠক হয় সল্টলেকের অফিসে। সেখানে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল এবং পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলার নেতাদেরকে এক কোটি সদস্য সংগ্রহ পার করার দায়িত্ব দিয়েছেন। যদিও সেটা কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বাংলায়। সেখানে যদি কিছু করা যায় এখন সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)