ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য মোট দেড় হাজারেরও বেশি (১৫৮৩টি) ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকছে। সব চেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকছে মেদিনীপুরে (৩০৪টি)। পাশাপাশি সিতাইয়ে ৩০০টি, মাদারিহাটে ২২৬টি, নৈহাটিতে ২১০টি, হাড়োয়ায় ২৭৯টি, মেদিনীপুরে ৩০৪টি এবং তালডাংরায় ২৬৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রাখা হয়েছে।
নৈহাটির প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক এখন সাংসদ হয়েছেন। গত লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। ফলে নৈহাটির বিধায়ক পদ ফাঁকা হয়েছে। হাড়োয়ার প্রাক্তন বিধায়ক হাজি নুরুল সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। তিনি এ বার লোকসভা ভোটে বসিরহাট থেকে জিতেছিলেন। জয়ের কয়েক মাস পরেই প্রয়াত হন নুরুল। সিতাইয়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া বর্তমানে কোচবিহারের সাংসদ। তালডাংরার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী এখন বাঁকুড়ার সাংসদ হয়েছেন। মেদিনীপুরেও একই ভাবে জুন মালিয়া সাংসদ হওয়ায় বিধায়কের পদ ফাঁকা হয়ে রয়েছে। মাদারিহাটে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বর্তমানে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। এই ছ’টি বিধানসভা আসনের মধ্যে পাঁচটিই ছিল তৃণমূলের দখলে। এক মাত্র মাদারিহাট ছিল বিজেপির। এ বারের ভোটে কোন শিবির ক’টি আসন পায়, তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে বাংলার রাজনীতিতে।
বাংলায় অতীতে একাধিক নির্বাচনে এমনকি ভোটের আগে এবং পরেও অশান্তির অভিযোগ উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের সময় নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো শুরু হয়েছিল। গত লোকসভা ভোটে সেই অর্থ বড়সড় কোনও অশান্তিও এড়াতে পেরেছিল কমিশন। এ বারও বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য সব বুথেই প্রয়োজনমতো কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতে চাইছে কমিশন।