ধর্মতলায় বুধবার বিকেলের বৃষ্টিতে অনশনমঞ্চের ত্রিপল কোথাও কোথাও ফুটো হয়ে গিয়েছে। সেখান দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে অনশনকারীদের বিছানায়। বৃষ্টির মধ্যেই ত্রিপল মেরামতের চেষ্টা করছেন অনেকে। সঙ্গে অনশনমঞ্চ থেকে উঠছে স্লোগান। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরে অনশনমঞ্চের আলো, পাখা নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। জল থেকে যাতে শর্ট সার্কিট হওয়ার সম্ভাবনা না তৈরি হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।
বর্ষা আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় নিয়েছে বাংলা থেকে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, স্থানীয় ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘের কারণে এখনও দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে। তবে দক্ষিণ ভারতের কাছে থাকা ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপের পরোক্ষ প্রভাবও পড়ছে বাংলায়। মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ক্রমে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। এর প্রভাবেই আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি হবে উত্তর তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কর্নাটক এবং দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে। এই আবহাওয়া পরিস্থিতির পরোক্ষ প্রভাব পড়ছে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়াতেও। বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে স্থলভাগে। তার প্রভাবে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা এবং সংলগ্ন শহরতলির একাধিক এলাকায় আকাশের মুখ ভার। কালো মেঘের ঘনঘটা তৈরি হয়েছে বার বার। বিকেলের দিকে ঝেঁপে বৃষ্টি নেমেছে ধর্মতলা, বরাহনগর-সহ বিভিন্ন প্রান্তে। সঙ্গে রয়েছে বজ্রপাত। ভবানীপুরের দিকে বিকেলে আকাশ কালো করে ঝড় উঠেছিল। পরে বৃষ্টিও শুরু হয়।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। এই জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এ ছাড়া, বাকি সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী কয়েক দিন। যদিও আপাতত উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সতর্কতাও জারি করা হয়নি।