‘এগুলিও বিবেচিত হোক’, ডাক্তারদের উদ্দেশে পাল্টা ১৩ দফা দাবি কুণালের
এই সময় | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ দফা দাবি নিয়ে ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি পালন করছেন প্রায় ১২ দিন। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গে একযোগে এই কর্মসূচি চলছে। মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচলার পরেও নিজেদের অবস্থান অনড় ডাক্তাররা। এ বার সমাজমাধ্যমে জুনিয়র ডাক্তারদের পাল্টা ১৩ দফা দাবি তুলে ধরলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।একটি পোস্ট করে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘সব হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক। সঙ্গে তাঁদের ডিউটির সময় অনুযায়ী উপস্থিতি ও রোগী দেখাটাও সুনিশ্চিত হোক। সরকারি হাসপাতালের কাজ ফেলে, সুবিধা মতো ডিউটি বদলে বাকি সময় প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ করা চলবে না। প্রেসক্রিপশনে কোম্পানির প্রভাবে দামি ওষুধ লেখা চলবে না। জেনেরিক টার্মে ওষুধ লিখুন, কোম্পানির ব্র্যান্ড নয়।’
এর পাশাপাশি ডাক্তারদের কাজ নিয়ে আরও বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ওষুধ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম (পেস মেকার) কোম্পানির স্পনসরশিপে ডাক্তারদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করা চলবে না। কমিশন, কাটমানির অভিযোগের সুরাহা করতে হবে। তাঁর পরামর্শ, কথায় কথায় বিভিন্ন পরীক্ষার নামে নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কেউ যেন কমিশন না নেন। ডাক্তারদের ফি যাতে মানুষের নাগালে থাকে, তার কাঠামো চাই। প্রত্যেককে রশিদ দিতে হবে।
সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের বেসরকারি হাসপাতালে কাজের চরম বিরোধিতা করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘হয় সরকারি, নইলে বেসরকারি বেছে নিন, দুটো একসঙ্গে কোনও নিয়ম দেখিয়ে চলবে না। সাধারণ মানুষের করের টাকার ভর্তুকিতে যাঁরা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়বেন, তাঁদের সরকারি কাজেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোটি টাকা দিয়ে বেসরকারিতে পড়াদের কথা আলাদা। জেলায় গেলেও কৌশলী রস্টারে তিন/চার দিন কলকাতায় এসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস চলবে না। জেলার হাসপাতালে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে।’
অনেক সময়ই রোগীদের ভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে। কুণাল বলেন, ‘সরকারি কাঠামোতে দুর্বলতা দেখিয়ে রোগীকে বেসরকারিতে যেতে বাধ্য করা বন্ধ করতে হবে।’ চিকিৎসার গাফিলতিতে নির্দিষ্ট FIR বাধ্যতামূলক হোক করার দাবিও করেন তিনি। কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পাল্টা জুনিয়র ডাক্তারদের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘উনি হয়তো আমাদের দাবিগুলো বুঝতে পারছেন না। আরজি কর কাণ্ডে অভয়ার বিচারের পাশাপাশি ডাক্তারদের সুরক্ষার দাবিতে বেশ কিছু দাবি রাখা হয়েছে। তার জন্যেই আমাদের এই আন্দোলন চলছে।’ উনি আরজি করের মূল ইস্যু থেকে আন্দোলনের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন বলেই দাবি করেন তাঁরা।