বুধবার ১২তম দিনে পড়ল জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন। নিজেদের ১০ দফা দাবি পূরণে গত ৫ অক্টোবর থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যেই অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কলকাতা থেকে ৪ জন চিকিৎসক এবং উত্তরবঙ্গ থেকে ২ জন চিকিৎসক। কেমন আছেন তাঁরা?হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ আছেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সিসিইউ থেকে বার করা হয়েছে তাঁকে। এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে। রক্তচাপ ওঠানামা করছে। হালকা খাবার দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। তাঁর চিকিৎসার জন্য যে মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়েছিল, সেই বোর্ডের সদস্যরা বৃহস্পতিবার আলোচনা করে অনিকেত মাহাতোকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
অন্যদিকে, চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য এবং তনয়া পাঁজা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অনুষ্টুপ কিছুটা সুস্থ রয়েছেন। স্বাভাবিক, খাওয়া-দাওয়া করছেন। পুলস্ত্য আচার্যের শরীরে জলশূন্যতা রয়েছে। মাঝেমধ্যে জ্বর আসছে। চিকিৎসক তনয়া পাঁজা আগের তুলনায় কিছুটা ভালো আছেন। তাঁর শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কিছুটা কম রয়েছে।
কলকাতার পাশাপাশি গত ৬ অক্টোবর থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দুই চিকিৎসক অনশন শুরু করেছিলেন। চিকিৎসক অলোক বর্মা এবং সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। অলোক ভার্মা ও সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়ায় দু’জনই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অলোক ভার্মা হাইব্রিড সিসিইউতে রয়েছেন। গতকাল সৌভিককে সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। আপাতত দু’জনেই সঙ্কটমুক্ত রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। উত্তরবঙ্গে পিজিট সন্দীপ মণ্ডল অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচির মাঝেই বুধবার বিকেলে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বৃষ্টির মধ্যে সমস্যায় পড়েন ধর্মতলায় অনশন মঞ্চের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। দমকা হাওয়ায় অনশন মঞ্চ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্রিপল মেরামতির চেষ্টা করা হয়। এর মাঝেই অনশন মঞ্চ থেকে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরে অনশনমঞ্চের আলো, পাখা নিভিয়ে দেওয়া হয়। মঞ্চ মেরামতিতে হাত লাগান আন্দোলনকারীরা।