• কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ-র ফারাক বেড়ে ৩৯ শতাংশ, মাসে কত হাজার টাকা কম পান বাংলার সরকারি কর্মীরা?
    আজ তক | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বৃদ্ধির ফলে এবার থেকে ৫৩ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। এর আগে তাঁরা ৫০ শতাংশ হারে পেতেন। নতুন ডিএ-র হার কার্যকর হওয়ার ফলে কেন্দ্রের সরকারি কর্মীরা মোটা অঙ্কের টাকা হাতে পাবেন। এদিকে রাজ্য সরকারি কর্মীরা এখন ডিএ পান ১৪ শতাংশ হারে। 

    রাজ্য সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, বাকি সব রাজ্য AICPI মেনে ডিএ দিলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাত্র ১৪ শতাংশ হারে ডিএ দিচ্ছে। যা বঞ্চনার সামিল। ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। আবার রাস্তায় নেমে অতীতে আন্দোলনও করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। তবে তাতে সরকারের টনক নড়েনি বলে অভিযোগ। তাদের আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ বৃদ্ধির ফলে এখন কেন্দ্রের সরকারি কর্মীদের থেকে রাজ্যের কর্মীরা ৩৯ শতাংশ কম ডিএ পাচ্ছেন। 

    রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি, কেন্দ্রের কর্মীদের তুলনায় তাঁরা মাসে ও বছরে হাজার হাজার টাকা কম পাচ্ছেন। আসুন দেখে নিই সেই হিসাব। যদি কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী মাসে ২০ হাজার টাকা বেসিক স্যালারি হয় তাহলে তাহলে ৫৩ শতাংশ হারে ডিএ পেলে ১০ হাজার ৬০০ টাকা  অতিরিক্ত পাবেন। মাসের এই টাকা পেলে বছরে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ টাকা পাবেন। 

    সেখানে একজন রাজ্য সরকারি কর্মীর বেসিক স্যালারি যদি ২০ হাজার টাকা হয় তাহলে তিনি মাসে ১৪ শতাংশ হারে  ২৮০০ টাকা ডিএ বাবদ পেয়ে থাকেন। তাহলে মাসে একজন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর তুলনায় রাজ্য সরকারি কর্মচারী ৭ হাজার ৮০০ টাকা কম পেয়ে থাকেন। 

    সেখানে বছরে  একজন রাজ্য সরকারি কর্মী ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা ডিএ পেয়ে থাকেন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী পেয়ে থাকেন ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ টাকা। সেই হিসেবে একজন রাজ্যের কর্মী ৯৩,৪০০ টাকা কম পেয়ে থাকেন। 

    এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিএ বৃদ্ধির ফলে উপকৃত হবেন লাখ লাখ সরকারি কর্মী ও পেনশনার। এদিকে এই ডিএ বৃদ্ধির পর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা তিন মাসের বকেয়া পাবেন। এর আওতায় জুলাই, অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়াও কর্মচারীদের অক্টোবরের বেতনের সঙ্গে যোগ করা হবে। এর মানে হল দীপাবলি উপলক্ষ্যে তাঁরা বিপুল পরিমাণ অর্থ পাবেন। কর্মচারীদের প্রাপ্ত ডিএর গণনা অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (AICPI) এর সঙ্গে সম্পর্কিত। যা গত ১২ মাসের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ট্র্যাক করে। তারপরই ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

     
  • Link to this news (আজ তক)