• সুস্থ হলেও উদ্বেগ কাটেনি শৌভিকের, প্রতীকী অনশনে অধ্যাপক চিকিৎসকেরা...
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নারায়ণ রায়: খানিকটা সুস্থ অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়। রক্তচাপের যে ওঠানামা ছিল তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ স্যালাইন চলছে। উল্লেখ্য, কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও শুরু হয় অনশন। প্রথম দিন থেকে শৌভিক অনশনে বসে। তার সাথ জুগিয়েছিল অলোক ভর্মা। অনশনের দিন তিনেকের মাথায় অসুস্থ হয়ে যায় অলোক ভর্মা। তাকে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন সে। 

    মেডিক্যাল সূত্রে খবর, আজ বা কাল তাঁকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। অন্যদিকে প্রথম দিন থেকে অনশন মঞ্চে অনড় ছিল শৌভিক। ২২২ ঘন্টা অনশনের পর তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকলে তাঁকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। বিগত রবিবার থেকেই রক্তচাপ ওঠানামা করছিল শৌভিকের। মঙ্গলবার হৃদ স্পন্দন অনিয়ন্ত্রিত হতে থাকে। পেটে ব্যথা শুরু হলে তাঁকে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেনে অন্যান্যরা। অন্যদিকে একাই অনশন মঞ্চে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার সন্দীপ মণ্ডল।

    পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের সহমত জানিয়ে প্রতিকি অনশন শুরু করেছেন অরথোপেডিকে বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পার্থ সারথি সরকার  ও অ্যাশোসিয়েট প্রফেসর ডাক্তার উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ সারথি বলেন,  'এই অনশনটা আমাদের কাছে শাস্তি। কিন্তু এই শাস্তিটা আমরা মেনে নিচ্ছি। পরিবারের মত করে সরকার আমাদের দেখুক। তার বাড়ির লোক যদি কেউ না খেয়ে থাকে তাহলে কি উনি ৯ দিন অপেক্ষা করবেন তাকে বোঝানোর জন্য?  দশটা দফা দাবি। মেনে নিন না।' অন্যদিকে ডাক্তার উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,  'সরকারের কোনও নমনীয়তা আমাদের চোখে পড়ছে না। দুমাসের বেশি সময়ে একটা জিনিস সবাই দেখেছে যে মানুষ কার পক্ষে আছে। আপনারা যদি এখন মানুষের পক্ষ না নেন তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আপনাদের কি চোখে দেখবে সেটা একবার ভাববেন।'

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)