• আরজি করে দুর্নীতির শিকড়ে যেতে আরও ২ ডাক্তার নজরে, CBI চিঠি রাজ্যকে...
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: 'দুর্নীতির তদন্তে আরজি করের দুই ডাক্তারের ভূমিকাও তদন্তের আওতায়'। রাজ্য়ে স্বাস্থ্য়সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি দিয়ে জানাল সিবিআই। সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উল্লেখ ওই দুই চিকিত্‍সকের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়ার সুপারিশও। চিঠিতে বলা হয়েছে, 'আগামী দিনে আরজি দুর্নীতি তদন্তে যদি আরও কোনও ব্যক্তি ভূমিকা সন্দেহজনক মনে হয়, তাহলে স্বাস্থ্য় দফতরকে জানানো হবে'। সূত্রের খবর তেমনই।

    ঘটনাটি ঠিক কী? তরুণী চিকিত্‍সক  ধর্ষণ ও খুনের সূত্রে ধরেই সামনে এসেছে আরজি করে 'দুর্নীতি'। অভিযুক্ত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সিট গঠন করেছিল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। কিন্তু এই মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।  সন্দীপকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রেহাই পাননি যুব তৃণমূল নেতা আশিস পাণ্ডেও।

    আরজি করের টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি আশিস। আরজি কর হাসপাতালে যেদিন তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে, সেদিন সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, তৃণমূল বিধায়ক আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের  কল ডিটেইলসে আশিসের নাম প্রকাশ্যে আসে। স্রেফ বিশেষ খোঁজ খবর নেওয়াই নয়, এই যুব তৃণমূলকে নেতাকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিলেন তদন্তকারীরা। শেষে গ্রেফতারি। কবে? ৩ অক্টোবর।

    এদিকে তখন তিনি নিজেই সিবিআই হেফাজতে। আরজি মামলায় হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন সন্দীপ। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁর বক্তব্য না শুনেই আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অকারণে আরজি করে মহিলা চিকিত্‍সককে খুন ও ধর্ষণের সঙ্গে দুর্নীতি মামলাটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট যে মন্তব্য় করেছে, সেই মন্তব্যটি প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। মামলাটি অবশ্য খারিজ হয়ে যায়।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)