• 'পালিয়ে প্রাইভেটে পেশেন্ট দেখা যাবে না!' ডাক্তারদের ১০-এর পাল্টা তৃণমূলের ১৩ দফা...
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিডিটাল ব্য়ুরো: অচলাবস্থা কাটবে কোন পথে? আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদে যখন আমরণে অনশনে জুনিয়র চিকিত্‍সক, তখন পাল্টা ১৩ দফুা দাবি তুলল তৃণমূল। ফেসবুকে পোস্টে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ লিখলেন, 'এই ১৩ দফা দাবিও বিবেচিত হোক। ডাক্তাররা কী বলেন'?

    তৃণমূলের ১৩ দফা

    ---

    ১) সব হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক। সঙ্গে তাঁদের ডিউটির সময় অনুযায়ী উপস্থিতি, রোগী দেখাটাও সুনিশ্চিত হোক।

    ২) সরকারি হাসপাতালের কাজ ফেলে, সুবিধেমত ডিউটি বদলে বাকি সময় প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ করা চলবে না।

    ৩) প্রেসক্রিপশনে একই গুণমানের কমদামী ওষুধের বদলে ওষুধ কোম্পানির প্রভাবে দামী ওষুধ লেখা চলবে না। জেনেরিক টার্মে ওষুধ লিখুন, কোম্পানির ব্র্যান্ড নয়। 

    ৪) ওষুধ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম ( পেস মেকারসহ) কোম্পানির স্পনসরশিপে অনুষ্ঠান, দেশবিদেশে ভ্রমণ চলবে না। ওঁরা সমাজসেবা করেন না। কমিশন, কাটমানির অভিযোগের বন্ধ/সুরাহা করতে হবে।  

    ৫) কথায় কথায় বিভিন্ন পরীক্ষার নামে নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কেউ যেন কমিশন না নেন।

    ৬) ডাক্তারদের ফি যাতে মানুষের নাগালে থাকে, তার কাঠামো চাই। প্রত্যেককে রশিদ দিতে হবে।

    ৭) হয় সরকারি, নইলে বেসরকারি বেছে নিন, দুটো একসঙ্গে কোনো নিয়ম দেখিয়ে চলবে না।

    ৮) সাধারণ মানুষের করের টাকার ভর্তুকিতে যাঁরা সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়বেন, তাঁদের সরকারি কাজেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোটি টাকা দিয়ে বেসরকারিতে পড়াদের কথা আলাদা।

    ৯) স্পেশালিস্ট, সিনিয়রদের ঠিকমত ডিউটি করতে হবে। লবি করে কলকাতা পোস্টিং বা জেলায় গেলেও কৌশলী রোস্টারে তিন/চার দিন কলকাতায় এসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস চলবে না। জেলার হাসপাতালে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে।

    ১০) শূন্যপদ পূরণ হোক। পরিকাঠামো বাড়ুক। কিন্তু নিজেদের কর্মক্ষেত্রকে রোগীবন্ধু রাখার দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি ডাক্তারদেরও নিতে হবে। কারণ সরকারি কাঠামোতে  দুর্বলতা দেখিয়ে রোগীকে বেসরকারিতে যেতে বাধ্য করা/টেনে দেওয়ার অভিযোগ আছে, বন্ধ করতে হবে এসব।

    ১১) বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তিতে বিপুল টাকা, পড়তে টাকা, সেমিস্টারে ফেল করিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে পাশ- এইসব অভিযোগবন্ধনীতে কিছু ডাক্তারও আছেন। এসবে স্বচ্ছতা ও তদন্ত দরকার।

    ১২) বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কিছু কোটা দীর্ঘকাল আছে। মুখ্যমন্ত্রীর কোটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ করেছেন। কিন্তু হাসপাতালের কোটাগুলি নিয়ে বহু অনিয়মের অভিযোগ, বহু ডাক্তার জানেন, সেগুলি বন্ধ হোক বা স্বচ্ছতা আনা হোক।

    ১৩) চিকিৎসার গাফিলতিতে নির্দিষ্ট FIR বাধ্যতামূলক হোক।

    এদিকে তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যের নিশানায়  সিনিয়র চিকিত্‍সক সুবর্ণ গোস্বামী। 'বাম আমলের ডাক্তারি ছাত্র খুন ও পর্ন চক্রের পাণ্ডা’ বলে পোস্ট তৃণমূল নেতার'। ২০০১ সালের ২৫ অগাস্ট আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। অভিযোগ ওঠে হস্টেলে পর্ণ চক্র চালাত এসএফআই। সেদিন ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছিলেন আরজি করের এসএফআই নেতা সুবর্ণ গোস্বামী।

    ২৩ বছর আগের ঘটনা। আরজি কর হাসপাতালের এক ডাক্তার পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় মৃতের মা সবিতাদেবী অভিযোগ করেছিলেন, আরজি কর হাসপাতালের পর্নোগ্রাফি চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েই খুন হতে হয়েছে তাঁর ছেলেকে। এমনকী দুবেজি, ধরবাবু এবং গোঁসাই ঠাকুর - এই তিন এসএফআই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। যৌনকর্মী ভাড়া করে এনে শ্যুটিং করার মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করে তৎকালীন সিআইডি অফিসাররা।যদিও আরজি কর হাসপাতালের তখনকার শীর্ষ এসএফআই নেতা ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী এসব অভিযোগ মিথ্যে বলেছিলেন।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)