দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: চাপা গায়ের রঙ, স্থূলকায় চেহারা কিংবা উচ্চতায় খাটো হওয়ায় সমাজে নানাভাবে অপদস্ত হতে হয় তাঁদের। শুধু তাই নয়, মাথায় টাকের জন্য শুনতে হয় টিপ্পনি। টাক মাথার জন্য জনসমক্ষে বেরতেও লজ্জা পান অনেকে। এই কারণে উৎসবের মরসুমেও টাক মাথা নিয়ে মণ্ডপে যেতে বা সেলফি তুলতে হীনমন্যতায় ভুগেছেন তাঁরা। এবার সেই সব মানুষদের মনোবল বাড়াতে পাশে দাঁড়ালেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাঁদের হাতে উপহার তুলে দিলেন তিনি।
বিজয়া দশমীর প্রাক্কালে ক্যানিংয়ের জীবনতলা বাজারে আয়োজন করা হয়েছিল এক বিশেষ অনুষ্ঠানের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শওকত মোল্লা। এই অনুষ্ঠানে কালিকাপুর ও মঠেরদীঘি পঞ্চায়েত এলাকার শতাধিক টাক মাথার মানুষদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান তৃণমূল নেতা। উপহার হিসাবে তাঁদের হাতে তুলে দেন নতুন পাঞ্জাবী ও গোলাপ ফুল।
এনিয়ে বিধায়ক শওকত মোল্লা জানান, “সবই ঈশ্বরের দান। এনিয়ে হীনমন্যতা বা মন খারাপের কোনও দরকার নেই। যাঁদের মাথায় চুল নেই তাদের সংবর্ধনা দেব আমি। আপাতত দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু হল এই কর্মসূচি। আগামী দিনে গোটা বিধানসভা এলাকা জুড়ে এই কর্মসূচি চলবে।” এলাকার বাসিন্দা তরুণ মণ্ডল বলেন, “অনেক রকম তেল, ওষুধ মেখেছি। কিছুতেই কাজ হয়নি। ৪০ বছরেই সব চুল উঠে গিয়েছে। আমাদের মনোবল বাড়াতে বিধায়ক যে উদ্যোগ নিলেন সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।” বিধায়কের হাত থেকে উপহার পেয়ে বেজায় খুশি সকলে।