সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর ইস্যুতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল, সেটার সমাপ্তি কি হবে ব্রিগেডের ময়দানে? জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্সের একটি বিবৃতি ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা। সেই জল্পনার মধ্যেই ব্রিগেড সমাবেশের এই ‘ইঙ্গিত’ নিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের তুলোধোনা করলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, সস্তার প্রচারের লোভে ব্রিগেড সমাবেশের ‘ইঙ্গিত’ দেওয়া বন্ধ হোক। হিম্মত থাকলে দিনক্ষণ ঘোষণা করুন চিকিৎসকরা।
আসলে আর জি কর ইস্যুকে সামনে রেখে রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে। পরে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশও। মঙ্গলবার রাজ্যের পুজো কার্নিভালের দিন পালটা ধর্মতলায় দ্রোহ কার্নিভালের ডাক দেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাতে ধর্মতলায় বহু সাধারণ নাগরিকও যোগ দেন। যদিও শাসকদলের অভিযোগ, দ্রোহের কার্নিভালে যারা যোগ দিয়েছেন, তাঁরা মূলত সিপিএমের কর্মী সমর্থক। চিকিৎসকরা সেটা মানতে নারাজ। তাঁরা এই দ্রোহের কার্নিভালে উপস্থিত থাকার জন্য আমজনতাকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন।
জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফে এক বিবৃতিতে ‘এভাবে পাশে থাকার জন্য’ মানুষকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আসল কার্নিভাল হবে সব দাবি পূরণের পর। সেদিন আর কোথাও নয়, সেদিন আপনারা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের দখল নেবেন এ বিশ্বাস আমাদের আছে।” পরে চিকিৎসক তমোনাশ ঘোষ বলেন, “আমরা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড দখল করব একদিন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চলছে তাতে দরকার পড়লে ব্রিগেডে আসতে হবে হয়ত একদিন।”
ডাক্তারদের এই ব্রিগেড দখলের পরিকল্পনাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলছেন, “কাল থেকে গিয়েই ব্রিগেডে বসে থাকুন। ব্রিগেড যাব একদিন, দিনক্ষণ, তারিখ দেবেন না! কাদের ল্যাজুড় হয়ে যাবেন এবার? কালকে যে আপনাদের ৭০০-৮০০ মানুষের সভা হয়েছিল, তাতে তো সিপিএমের নেতা আর কর্মীরা ভর্তি।” কুণালের সাফ কথা, ক্ষমতা থাকলে মানুষের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। উপনির্বাচনে প্রার্থী হোন। আর ব্রিগেডের গল্প! এই সস্তার প্রচারের দরকার নেই। হিম্মত থাকলে কাল থেকে চলে যান, নাহলে দিনক্ষণ ঘোষণা করুন।”