আলিপুরে উডল্যান্ডসের সামনে থেকেই খুদেদের পুজো সফর শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয়ার সকালে বাসে করে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল তারা। পথে নানা গানের তালে কোমর দোলাচ্ছিল কন্যারা। কখনও ‘কমলা সুন্দরী নাচে’, কখনও ‘শিবঠাকুরের গলায় দোলে’, কখনও আবার বলিউডের জমকালো গান— খুদেদের উচ্ছ্বাস যেন বাঁধ মানছিল না। নাচগানের তালে তালে বাসের মধ্যেই ছিল রকমারি আলোকসজ্জার বন্দোবস্ত, যা শিশুদের আরও মাতিয়ে তোলে।
পুজো পরিক্রমায় ‘খুদে দুর্গা’দের প্রথম গন্তব্য ছিল ত্রিধারা। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় এই পুজো মণ্ডপের সামনে প্রথম থামে বাস। এ বছর সেখানে পুজোর থিম ছিল ‘অঙ্গন’। মণ্ডপসজ্জা এবং প্রতিমা দেখে মোহিত হয় শিশুরা। ওই দিনই তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউ টাউনের হলিডে ইন দুর্গামণ্ডপে। সেখানে এ বছর ১২ ফুট উঁচু চকোলেটের প্রতিমা তৈরি করা হয়েছিল। ৩০ জন খুদে বালিকার হাত ধরেই সেই মণ্ডপের উদ্বোধন করা হয়।
পুজো সফর শেষ হয় উত্তর কলকাতায় আহিরিটোলা সর্বজনীনে এসে। পুরনো কলকাতার নানা খুঁটিনাটি দেখে সেখানেও মুগ্ধ হয়েছে শিশুরা। এই পুজো সফরের মূল উদ্যোক্তা উডল্যান্ডসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা সিইও রূপক বড়ুয়া বলেন, ‘‘উডল্যান্ডসে আমরা শুধু স্বাস্থ্য নয়, মানুষের আশাগুলিকেও লালন করার চেষ্টা করি। দুর্গাপুজোর আনন্দ এই খুদে বালিকাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমরা গর্বিত। ওরাও আমাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে চলা, সকলকে উপরের দিকে টেনে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। মা দুর্গা আমাদের সকলের মধ্যেই বিরাজমান।’’