• উত্তর ২৪ পরগনার দুই কেন্দ্রেই আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল, বিরোধীরা হাতড়ে বেড়াচ্ছে আরজি কর
    আজকাল | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের অন্য চার বিধানসভার সঙ্গে আগামী ১৩ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সাংগঠনিকভাবে দুই কেন্দ্রেই ফের জয়ের লক্ষ্যে প্রত্যয়ী তৃণমূল। উল্টো দিকে বিরোধীরা খুঁজছে ভেসে থাকার খড়কুটো। সিপিএম ও বিজেপি দুই শিবিরের মুখে কেবল আরজি কর।

    আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটি কেন্দ্র রয়েছে। দুই কেন্দ্রেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করেছিল। হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম ৮০ হাজার ৯৭৮ ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। অন্যদিকে নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক জিতেছিলেন ১৮ হাজার ৮৫৫ ভোটে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হাজি নুরুল ইসলাম বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। আর পার্থ ভৌমিক ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হন। নির্বাচন কমিশনের বিধি মেনে তাঁদের দু'জনকেই বিধায়ক পথ থেকে তখন ইস্তফা দিতে হয়েছিল। তারপর থেকে হাড়োয়া ও নৈহাটি- দুই কেন্দ্রই বিধায়কহীন ভাবে রয়েছে।

    মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ১৩ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ছয় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট জারি করতেই শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরই পথে নেমে পড়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে হাড়োয়া ও নৈহাটি দুই বিধানসভা এলাকাতেই তৃণমূল প্রার্থীরা লিড পেয়েছিলেন। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে তৃণমূলের ব্যাপক জয় দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে উপনির্বাচনে ঘাসফুল শিবির জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, 'হাড়োয়া ও নৈহাটি দুই কেন্দ্রেই গতবার আমরা জয়লাভ করেছি। উপনির্বাচনে আমরা আরও বেশি ভোটে জয়লাভ করব।'

    লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে সিপিএম ও বিজেপি তাদের সংগঠন এখনও পর্যন্ত গুছিয়ে তুলতে পারেনি। বিরোধী শিবিরের কর্মীদের মধ্যে এখনও গা-ছাড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে। বিজেপি ও সিপিএম দুই শিবিরই আরজি কর আন্দোলনকে হাতিয়ার করে ভেসে থাকতে চাইছে। বিধানসভা উপনির্বাচনে তারা আরজি কর নিয়ে প্রচারে নামবে বলে জানিয়েছে। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, 'আরজি করের ঘটনার পর মানুষের মন বদলে গিয়েছে। মানুষ প্রতিবাদ করছেন। যদি স্বাভাবিক নির্বাচন হয়, তাহলে আমরা ভালো ফল করব।'

    প্রায় একই রকম দাবি সিপিএমেরও। দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, 'আরজি কর নিয়ে আমরা আন্দোলনে আছি। ‌আন্দোলনে থাকব। উপনির্বাচনে মানুষ আমাদের পাশে থাকবে বলেই আমরা মনে করছি।' বিজেপি ও সিপিএম ভালো ফল করবে দাবি করলেও জয়ের সম্ভাবনার কথা শোনা গেল না ফাল্গুনী বা মৃণালবাবু কারও মুখেই। ‌বিরোধীদের কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা নারায়ণ গোস্বামী বলেছেন, 'আরজি করের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথাযথ পদক্ষেপ করছেন। তিনি সহনশীলতার সঙ্গে বিষয়টি দেখছেন। তাই, বিজেপি ও সিপিএম যতই আরজি কর নিয়ে আশায় বুখ বাঁধুক, তাতে বিশেষ কোনও লাভ হবে না। ভোটের ফলাফলে আবার তাদের মন খারাপ হবে।'
  • Link to this news (আজকাল)