• পুজো মিটলেই শুরু হবে মমতার বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ
    বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: পুজোর ছুটি কাটলেই গোটা রাজ্যের সঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলাতেও শুরু হয়ে যাবে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ। বহু অপেক্ষার পর এবার অন্তত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়া যাবে, সেই প্রত্যাশায় বুক বেঁধে আছে সীমান্তবর্তী বেলপাহাড়ীর কাঁকড়াঝোড় এলাকার বহু পরিবার। এই এলাকায় বহু পরিবার বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় বাড়ি পায়নি। অনেকেই ভাঙাচোরা ঘরে দিন কাটাচ্ছেন। এই নিয়ে ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) লক্ষ্মণ পেরুমল আর বলেন, আগামী ২১ অক্টোবর থেকে দশদিন প্রাথমিক পর্যায়ে সমীক্ষা চলবে। ব্লক স্তরে অধিক জনসংখ্যা, এমন এলাকায় তিনটি করে সমীক্ষক দল থাকবে। এই সমীক্ষা রিপোর্ট উচ্চ পর্যায়ের অফিসারদের দিয়ে ক্রস চেক হবে। বিডিও থেকে সার্ভের রিপোর্ট জেলাস্তরে পাঠানো হবে। তার পরবর্তী পর্যায়ে জেলায় কতগুলো বাড়ি তৈরি হবে, তার নির্দেশিকা আমরা পাব।

    অনেক আগেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেয়। সমস্যায় পড়েন নিচুতলার খেটে খাওয়া মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে একাধিকবার চিঠি লিখেছেন। জেলার বহু মানুষ এখনও কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার বাড়ি পাননি। অনেকেরই মাটির ভাঙাচোরা বাড়িতে বসবাস করছেন। এঁদের কথা ভেবে রাজ্য সরকার ফের রাজ্যজুড়ে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করার উদ্যোগ নেয়। 

    জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যের সঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলাতেও আগামী ২১ অক্টোবর থেকে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। ১০ দিনের মধ্যে শেষ হবে প্রাথমিক পর্যায়ের এই সমীক্ষা। তিনটি সমীক্ষার পর, সেই রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের হাতে পৌঁছবে। তার পরে তৈরি হবে বাংলা আবাস যোজনায় প্রাপকদের নামের তালিকা। রাজ্য সরকার থেকে এই প্রকল্পে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আগামী দিনে এই প্রকল্প নিয়ে যাতে কোনও অভিযোগ সামনে না আসে, তাই নিয়ে সতর্ক জেলা প্রশাসন। 

    এই নিয়ে  কাঁকড়াঝোড় গ্রামের বাসিন্দা পানমনি সিং ও লক্ষ্মী সিং বলেন, এই এলাকায় আমাদের মতো অনেকেই আবাস যোজনার ঘর পাননি। অনেকের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার জন্য বহুবার বাড়ি বাড়ি  সমীক্ষা হয়েছে। তবু বাড়ি তৈরি হয়নি। এবারে যদি বাড়ি তৈরি হয়, তাহলে আমাদের এই প্রত্যন্ত এলাকার গরিব মানুষের খুবই উপকার হবে। এই নিয়ে বিনপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ সিং সর্দার বলেন, গত বছর সরকারিভাবে যে তালিকা হয়েছিল,সেটি ধরেই সমীক্ষা হবে। নতুন করে কোনও তালিকা তৈরি করা হচ্ছে না।  ২১ তারিখ থেকে ৩০ অক্টোবর হবে প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষা। আগামী নভেম্বর মাসে শেষ পর্যায়ে সমীক্ষা হওয়ার পর জেলা প্রশাসন থেকে বাড়ি তৈরির তালিকা তৈরি হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তারা পেতে পারেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)