• নবদ্বীপের দু’ কিমি রাস্তা বেহাল, মেরামতির দাবি
    বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপ ব্লকের মহেশগঞ্জ ফকিরতলা মোড় থেকে ট্যাংরা কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় দু’ কিলোমিটার রাস্তা পুরোপুরি বেহাল। বেশ কিছু জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়েছে, কোথাও আবার পিচ উঠে খোয়া বেরিয়ে গিয়েছে। রাস্তাটির পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে হেঁটে যাতায়াত করতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। প্রায়ই ছোটখাট দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। এখন এই পিচ রাস্তাটির বেশ কিছু জায়গায় দু›দিক ভাঙতে ভাঙতে সরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি দু’টি গাড়ি যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে। সাইকেল, মোটরসাইকেল, টোটো নিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চালকদের। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। 

    জানা গিয়েছে, স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড থাকাকালীন ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে পঞ্চায়েত এবং তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ তাপস মণ্ডলের সাংসদ তহবিলের টাকায় এই পিচ রাস্তায় কাজ হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সাল থেকে পুনরায় রাস্তাটি ভাঙতে শুরু করে। ২০২৩ সালে তৎকালীন তৃণমূল বোর্ড রাস্তাটি মেরামতির জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা আসে বিজেপি বোর্ড। অভিযোগ, নতুন বোর্ড এসে আগের বোর্ডের রাস্তার কাজ বাতিল করে দেয়। 

    স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের তিওরখালি, দরগাতলা, মহেশগঞ্জ বিপ্রনগর, বাগানে পাড়া, ট্যাংরা বাসিন্দারা তো বটেই, কৃষ্ণনগর ১ নম্বর ব্লকের রুইপুকুর পঞ্চায়েতের কাশীবাস, আমাঘাটার বাসিন্দাদের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়ে ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের নবদ্বীপ বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত অফিস, মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল, ভাগীরথী বিদ্যাপীঠ, পানশিলা গার্লস হাইস্কুল সহ কলেজ পড়ুয়ারাও যাতায়াত করেন। এমনকী ফকিরতলা থেকে আমাঘাটা পর্যন্ত রাজ্য সড়কে যদি কোনও সমস্যা হয়, তখন এই বাইপাস রাস্তা দিয়ে বাস, অটো সহ বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াত করে।

    মহেশগঞ্জ বাগানে পাড়ার বাসিন্দা সত্যম দেবনাথ বলেন, প্রায় দু’ বছরের বেশি সময় ধরে রাস্তাটি বেহাল। এই রাস্তা দিয়ে স্থানীয় দু’টি হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে। বিডিও অফিস, মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান, তাঁদেরও ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয়।

    ট্যাংরা ফুলতলা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল জিল্লাল শেখ বলেন, ভোটের আগে সব দলের নেতারা কথা দিয়েছিলেন রাস্তার কাজ করে দেবেন। কিন্তু এতদিন হয়ে গেল রাস্তা আর মেরামতি হল না। বছর দুই আগে আমি ভাঙা খোয়ায় মোটর সাইকেল নিয়ে পড়ে যাই। হাঁটুর নীচে হাড় ফেটে গিয়েছিল। ভেলোরে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েও এখনও পুরোপুরি সুস্থ হতে পারিনি।

    স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান ছবি হালদার বলেন, এই রাস্তার বেহাল পরিস্থিতির কথা শুনেছি। মানুষের কথা ভেবে পঞ্চায়েত খুললেই রাস্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। শীঘ্রই রাস্তাটি মেরামতির উদ্যোগ নেব।
  • Link to this news (বর্তমান)