• রামপুরহাটে খোলা হয়নি তোরণ, যানজটে দুর্ভোগ
    বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: পুজো মিটে গিয়েছে। তবে রাস্তার জায়গায় জায়গায় লাগানো একাধিক তোরণ এখনও খোলা হয়নি। সংকীর্ণ রাস্তায় পথ চলাই দায় হয়ে উঠেছে রামপুরহাট শহরে। 

    পুজোর অনেক আগে থেকেই রামপুরহাট শহরের একাধিক রাস্তা ঘিরে বাঁশ পুঁতে তোরণ লাগিয়েছিল পুজো কমিটিগুলি। আবার অনেক ব্যবসায়ীও তোরণ লাগিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। ফলে একেই সংকীর্ণ শহরের রাস্তা। তার উপরে তোরণ তৈরি হওয়ায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। সেই যানজট এখনও অব্যহত। কারণ, পুজো মিটে গেলেও সেই তোরণ খোলা হয়নি। তার উপরে দোসর হয়েছে অবৈধ টোটো। ফলে যানজটে নাভিশ্বাস শহরবাসীর। 

    রামপুরহাট শহরের যেখানে-সেখানে রাস্তার উপর তোরণ নতুন কিছু নয়। কোনও উৎসব-অনুষ্ঠান মানেই রাস্তা আটকে মাথা তোলে তোরণ। অনুষ্ঠান মিটে গেলেও তা অনেকদিন থেকে যায়। সমস্যা দিন দিন জটিল হচ্ছে বলেই অভিযোগ। শহরবাসীর বক্তব্য, জনবহুল এলাকায় তোরণ না তৈরি করাই ভালো। তোরণ থাকলে যানজট হয়। এখন যেমন পুজো মিটে গেলেও সানঘাটা মোড় থেকে কামারপট্টি মোড়, ভাঁড়শালা রোড, ব্যাঙ্ক রোড ও দেশবন্ধু রোডে বহু তোরণ রয়েছে। ফলে, এই সব এলাকায় চলাফেরায় অসুবিধা হচ্ছে। 

    আবার কোনও জায়গায় তোরণ খোলা হলেও এ দিক-সে দিকে পড়ে রয়েছে বাঁশ। আবার কোথাও রাস্তা ঘিরে মণ্ডপ হয়েছিল। সেই মণ্ডপও খোলা হয়নি। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কাগজ-প্লাস্টিকের ব্যাগ, এমনকী পেরেকও। ফলে যানবাহনের চাকায় সেই পেরেক ঢুকে যাচ্ছে। বিশেষ করে সমস্যায় পড়ছেন বাইক চালকরা। স্বভাবতই রামপুরহাটের মানুষ অসন্তুষ্ট। 

    শহরের বাসিন্দা সন্তোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শহরের প্রধান রাস্তাগুলো সঙ্কীর্ণ। তোরণ থাকায় তা আরও সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়েছে। মানুষের চলাফেরায় দুর্ভোগ যে বেড়েছে তা দেখেও উদাসীন পুরসভা ও প্রশাসন।

    অবৈধভাবে রাস্তা দখল করে কোনও ওভারহেড তোরণ না করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। যদি কেউ তোরণ নির্মাণ করেন সেক্ষেত্রে পিডব্লুডি থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নিতে হবে। কিন্তু এনওসি তো দুর, তোরণ নির্মাণ হলেও এখনও তা খোলাই হয়নি। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, তোরণগুলো দশমীর পরপরই খুলে নেওয়ার কথা পুজো উদ্যোক্তাদের বলা হয়েছিল। এখনও রাস্তায় অনেক তোরণ রয়েছে। আর দু’-তিনদিন দেখা হবে। না-হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

    শহরের বাসিন্দা সৌমেন মণ্ডল, সুপর্ণা পালরা বলেন, চলাফেরার তো অসুবিধে হচ্ছেই। এতে শহরের সৌন্দর্যও বিঘ্নিত হয়। ছোট রাস্তাতেও তোরণ রয়েছে। প্রতিটি শহরের একটা নিজস্ব চরিত্র রয়েছে। সেখানে অপরিকল্পিতভাবে তোরণ তৈরি করা শহরের রুচি এবং সৌন্দর্য দুইয়েরই পরিপন্থী। 

    শহরবাসী তাই চাইছেন, রাস্তা দ্রুত আগের চেহারায় ফিরুক। এব্যাপারে পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত বলেন, তোরণগুলি দ্রুত খুলে নেওয়ার জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের বলা হবে। কিছু কিছু কমিটি আবার খুলতে শুরু করেছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)