• ১৮ হাতে অস্ত্র নিয়ে পূজিতা মা লক্ষ্মী, দেওয়া হয় ভোগ
    বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা হবিবপুর: মালদহের বামনগোলা সারদাতীর্থম আশ্রমে পঁচিশ বছর ধরে পূজিতা হন ১৮ হাতে অস্ত্রধারিণী মা লক্ষ্মী। ১৯৯৮ সালে মালদহ জেলার বামনগোলা ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম গাংগুরিয়ায় সারদাতীর্থম আশ্রমের প্রতিষ্ঠা হয়। ঠিক তার পরের বছর থেকেই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন পূর্ণিমা তিথিতে আঠারো হাত বিশিষ্ট মহালক্ষ্মী দেবীর পুজো হয়ে আসছে। প্রথমবছর থেকেই এই বিশেষ তিথিতে সকালেই মহালক্ষ্মীর পুজো  হয়। আশ্রমের সম্পাদক স্বামী আত্মপ্রাণানন্দ উজ্জ্বল মহারাজ বলেন, মহা সমারোহে আমাদের আশ্রমে মহালক্ষ্মীর পুজো করা হয়। মহালক্ষ্মী হলো মা দুর্গার একটি রূপ। আমরা চণ্ডীতে এই রূপ দেখতে পাই। মহিষাসুরের সৈন্যদের বধ করতে তিনি মহালক্ষ্মীর রূপ ধারণ করেছিলেন। 

    হোমযজ্ঞ, ভোগ নিবেদন ও আরতী করে মহালক্ষ্মীর পুজো হয়। মহারাজের সংযোজন, সকালে মহালক্ষ্মী দেবীকে যেমন পুজো করা হয়। সন্ধ্যায় তাঁকেই আবার কোজাগরী লক্ষ্মী রূপে পুজো করা হয়। রীতি অনুযায়ী কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর পরের দিন সকালে দর্পণ বিসর্জন দিয়ে মাকে দধিকর্মা নিবেদন করে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। দেবীর এক হাতে থাকে চক্র এবং অন্যান্য হাতে থাকে ত্রিশূল, গদা, তীর-ধনুক, কুঠার, পদ্ম, শঙ্খ সহ অন্য অস্ত্র। অসুরদের বধ করতে নাকি তাঁর এই রূপ। পুজোর আচারেও আছে ভিন্নতা। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে ১৬ রকম উপাচারের মাধ্যমে পূজিতা হন তিনি। পুজোর দিন সকালে বস্ত্র, আলতা, কাজল, চিরুনি এবং অন্যান্য জিনিস দিয়ে মাকে পুজো করা হয়। ১০৮টি বেল পাতা অর্পণ করা হয় যজ্ঞে। ভোগে থাকে ৫ রকমের ভাজা, তিন রকমের তরকারি, ডাল এবং মিষ্টি। রাতে এখানে চিত্রপটে মহালক্ষ্মীকে পুজো করা হয়। এই দেবীর আরাধনায় মেতেছেন মানুষ। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)