সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়িতে এ বছর কৃষ্ণনগরের লক্ষ্মী প্রতিমার চাহিদা সব থেকে বেশি। স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি প্রতিমার থেকে কৃষ্ণনগরের ছাঁচের প্রতিমা বিক্রি করে দোকানিরাও খুশি। অপরদিকে, কৃষ্ণনগরের প্রতিমা কিনে হাসি মুখে বাড়ি ফিরলেন ক্রেতারাও। তাঁরা বলেন, কৃষ্ণনগরের তৈরি প্রতিমা নিখুঁত। রংও উজ্জ্বল। কৃষ্ণনগরের প্রতিমার কদর বৃদ্ধিতে ময়নাগুড়ির স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা কিছুটা হলেও আর্থিক ক্ষতিরমুখে।
বুধবার সকাল থেকেই ময়নাগুড়ি বাজারে প্রতিমা কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। কমবেশি প্রত্যেকটি দশকর্মা দোকান সহ রাস্তার ধারে প্রতিমা নিয়ে বসা দোকানিরা কৃষ্ণনগরের লক্ষ্মী প্রতিমা বেশি বিক্রি করছেন। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দু’সপ্তাহ আগে কৃষ্ণনগর গিয়ে সেখান থেকে লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে এসেছেন। অনেকেই আবার জানিয়েছেন, গতবছর কৃষ্ণনগরের প্রতিমা বিক্রি করে ভালো লাভ হয়েছে, ক্রেতারাও সন্তষ্ট হওয়ায় এবার অগ্রিম দিয়ে প্রতিমা নিয়ে আসা হয়েছে।
যদিও অনেক ব্যবসায়ীর মতে, কৃষ্ণনগরের প্রতিমা স্থানীয় বাজারে আসায় ময়নাগুড়ির মৃৎশিল্পীদের তৈরি প্রতিমার কদর কমেছে। এতে স্থানীয় শিল্পীদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ব্যবসায়ী নিরানন্দ রায় বলেন, কৃষ্ণনগর থেকে প্রতিমা নিয়ে এসেছি। ভালোই বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা এসে কৃষ্ণনগরের প্রতিমাই চাইছেন। স্থানীয় মৃৎশিল্পীদের প্রতিমাও কিছু রেখেছি দোকানে। তবে কৃষ্ণনগরের প্রতিমার আলাদা কদর দেখছি। আমার দোকানে কৃষ্ণনগরের সব থেকে ছোট প্রতিমার দাম আড়াইশো টাকা। তার থেকে বড় ৪৫০ এবং ৫০০ টাকা। আরএক ব্যবসায়ী বিক্রম পাল বলেন, কৃষ্ণনগর থেকে অর্ডার দিয়ে বেশকিছু লক্ষ্মী প্রতিমা এনেছি। ভালো বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা এসে কৃষ্ণনগরের প্রতিমারই খোঁজ করছেন। এই প্রতিমার রং উজ্জ্বল। গঠনও সুন্দর।
স্থানীয় মৃৎশিল্পী ও ব্যবসায়ী পরেশ পাল বলেন, একদিকে কালো মাটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, অপরদিকে বাইরের প্রতিমা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হওয়ায় প্রতিমা বিক্রিতে এর প্রভাব পড়েছে। বুধবার সকালে ময়নাগুড়ি বাজারে লক্ষ্মী প্রতিমা কিনতে আসা ভূদেব রায় বলেন, কৃষ্ণনগরের প্রতিমা কিনেছি। এই প্রতিমার মুখ খুব সুন্দর, এছাড়া রং উজ্জ্বল। গতবছরও কিনেছি। তাই এবারও দোকানে এসে কৃষ্ণনগরের লক্ষ্মী প্রতিমাই কিনলাম।
(ময়নাগুড়িতে বিকোচ্ছে কৃষ্ণনগরের লক্ষ্মী প্রতিমা। - নিজস্ব চিত্র।)