• দ্বিতীয় বিয়ের দেড় বছরের মধ্যে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ
    বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: বিয়ের দেড় বছরের মাথায় উদ্ধার হল বধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় রায়গঞ্জ শহরের পূর্বাশা পাড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার বয়স ২৮ বছর। বুধবার ভোরে বধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিস। এই ঘটনার পরই বাপের বাড়ির লোক স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের বারসই এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় রায়গঞ্জের বাহিন গ্রামপঞ্চায়েতের লহুজগ্রামের এক যুবকের। যদিও দু’জনই আগে বিবাহিত ছিল। তাঁরা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে তাঁরা দ্বিতীয়  বিয়ে করেন। এরপর সব ঠিকঠাক চললেও মাঝেমধ্যেই দু’জনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। 

    এদিন মৃতার মামা বলেন, পাঁচবছর আগে অন্য একজনের সঙ্গে  ভাগ্নিকে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের পর ওই যুবকের সঙ্গে ওর আলাপ হয়।  এরপর ওই যুবক আমার ভাগ্নিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। ওকে বিয়ে করে। বিয়ের পর রায়গঞ্জের পূর্বাশাপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতে শুরু করে ওরা। তারপর থেকে ভাগ্নিকে তার নতুন স্বামী নানা সময় অত্যাচার করত। ওই যুবকের ১২ বছর আগে প্রথম বিয়ে হয়। প্রথম পক্ষের স্ত্রীও রয়েছে। আমার ভাগ্নিকে বিয়ের পর যুবকটি আবার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে শুরু করে। তা নিয়ে ভাগ্নির সঙ্গে অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। যার ফলে ভাগ্নিকে মেরে ফেলা হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি ওই বধূর স্বামীর। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমাদের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক ছিল না। দু’ দিন আগে একটু ঝামেলা হয়। আমাকে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে বলে। যদিও পরবর্তীতে তা মিটেও যায়। মঙ্গলবার রাতে শুতে যাই। আমি একটি ঘরে ছিলাম। আমার স্ত্রী পাশের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। শ্বশুরবাড়ির লোক আমাকে ফাঁসানের জন্য এই অভিযোগ করছে। 

    এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। বধূর দেহ রায়গঞ্জ মেডিক্যালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। 
  • Link to this news (বর্তমান)