• টোটোচালক, হোটেল বয়ের বেশে সেক্স র‌্যাকেট নিয়ন্ত্রণ শিলিগুড়িতে
    বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: পার্লার কর্মী, বার বয়, টোটোচালকের ‘ছদ্মবেশে’ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে সেক্স র‌্যাকেট! শিলিগুড়িতে সেনা জওয়ান খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিস। তাদের সন্দেহ, সংশ্লিষ্ট র‌্যাকেটের সঙ্গে বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বার, ম্যাসাজ পার্লারের সংস্রব রয়েছে। এ ব্যাপারে নড়েচড়ে বসেছে পুলিস। তারা ইতিমধ্যে বিষয়টি খোঁজখবর শুরু করেছে। 

    শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, সেনা জওয়ান খুনের ঘটনা কিনারা হয়েছে। এই ঘটনায় ধৃতদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য মিলেছে। যা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সেক্স র‌্যাকেটের বিরুদ্ধেও প্রতিটি থানার পুলিস সতর্ক রয়েছে। 

    সেনা জওয়ান খুনের ঘটনায় ধৃতদের ভূমিকা নিয়ে বিস্মিত পুলিস অফিসাররা। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পুলিস সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত চালিয়ে সেক্স র‌্যাকেট সংক্রান্ত নয়া কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে। পুলিস সূত্রের খবর, খুনের ঘটনায় ধৃত পাঁচজনের মধ্যে দু’জন দিনে ও রাতে টোটো চালায়। আর দু’জন বারে ও হোটেলে বয়ের এবং বিভিন্ন পার্লারে কাজ করত। এরাই লাস্যময়ীর সাগরেদ। 

    জংশন, রেল স্টেশন, শপিংমল সহ বিভিন্ন এলাকায় দাঁড়িয়ে কাস্টমার ধরত লাস্যময়ী। আর ওই সাগরেদদের মাধ্যমে খদ্দের নিয়ে যেত নিজের ডেরায়। কখনও হায়দরপাড়ার ভাড়া বাড়িতে। আবার কখনও কোনও হোটেলে। একই সঙ্গে ওই এজেন্টরাও খদ্দের ধরত। এজন্য তারা মোবাইল ফোনে লাস্যময়ীর ছবি রাখত। সম্ভবত এভাবেই ধৃতরা সেক্স র‌্যাকেট নিয়ন্ত্রণ করত। 

    শিলিগুড়িতে সেক্স র‌্যাকেটের রমরমা দীর্ঘদিনের। মাঝে কিছুদিন সংশ্লিষ্ট র‌্যাকেট নিষ্ক্রিয় ছিল। ফের শহরের সেভক রোড, ভক্তিনগর, এনজেপি, প্রধাননগর, মাটিগাড়া, সিটি সেন্টার প্রভৃতি এলাকায় সংশ্লিষ্ট র‌্যাকেট জাল বিস্তার করেছে। জওয়ান খুনের পর এ ব্যাপারে পুলিস তৎপরতা বাড়াচ্ছে। পুলিসের এক অফিসাররা বলেন, জওয়ান খুনের ঘটনায় ধৃতদের সঙ্গে সম্ভবত বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পার্লার, বারের যোগাযোগ রয়েছে। এদের গ্যাংয়ে আরও কিছু লাস্যময়ী রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। কিছু নাম মিলেছে। সেগুলি আতশকাচের নীচে রয়েছে। এ ব্যাপারে লাগাতার অভিযান চালানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। 

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বৈকুণ্ঠপুর ফরেস্টের ছোট ফাঁপড়ি থেকে সেনা জওয়ান সুজিতকুমার সিংয়ের (৪০) মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিসের সন্দেহ, শ্বাসরোধ করেই ওই জওয়ানকে খুন করা হয়েছে। লাস্যময়ীর ঘর অর্থাৎ ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার রডও উদ্ধার করা হয়েছে। যা দিয়ে ওই জওয়ানের মাথায় আঘাত করা হয় বলে সন্দেহ। 
  • Link to this news (বর্তমান)