সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবে মাতল হাওড়া গ্রামীণ জেলা। বিশেষ করে জেলার জয়পুরের খালনায় এখন রীতিমতো উৎসবের চেহারা। আলোর রোশনাই থেকে চোখধাঁধানো মণ্ডপ দেখতে বুধবার বিকেল থেকেই খালনা গ্রামে মানুষের ঢল নামে।
এই খালনা গ্রামে পারিবারিক ও বারোয়ারি মিলিয়ে শতাধিক লক্ষ্মীপুজো হয়। হাওড়া ছাড়া অন্যান্য জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা এখানে ভিড় জমান। পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে জমজমাট হয়ে ওঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি। পুজো উদ্যোক্তাদের মতে, প্রতিবছরই লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবের চেহারা নেয় গোটা গ্রাম। রাত যত বৃদ্ধি পায়, দর্শনার্থীদের ঢলও ততই বৃদ্ধি পায়। পুজো উপলক্ষে এদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিসের পাশপাশি এলাকায় র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, পুজোর শেষে ১৮ অক্টোবর খালনায় লক্ষ্মীপুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হবে। এদিন খালনা গ্রামে বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। সঙ্গে ছিলেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। অপরদিকে, খালনার পাশাপাশি উলুবেড়িয়ার রাজাপুরের কামিনাতেও এখন উৎসবের চেহারা। এখানেও দর্শকদের নজর কাড়তে হয়েছে একাধিক থিমের মণ্ডপ। তার মধ্যে কামিনা বালক সঙ্ঘের দিল্লির লালকেল্লা, কামিনা দক্ষিণপাড়া আমরা সবাইয়ের মাটির হাঁড়ির মণ্ডপ, সংগ্রামী সঙ্ঘের পুরনো যুগের শিবমন্দির, নবজাগরণ সঙ্ঘের মহাকালের আদলে মণ্ডপ অন্যতম। বাগনানের জোকা গ্রামেও ১৬টির মতো থিম পুজো হচ্ছে। সেই নিয়ে ওই গ্রামে এখন উৎসবের চেহারা।