• পুজোর চারদিন ফেরিতে রেকর্ড ভিড়, লক্ষ্মীলাভ হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির
    বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: গত বছরের তুলনায় এবার দুর্গাপুজোয় বিভিন্ন জেলা শহর ও মফস্‌সল থেকে রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থী এসেছিলেন হাওড়া স্টেশনে। এই স্টেশনই হল কলকাতার অন্যতম গেটওয়ে। চারদিনে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ এই হাওড়া স্টেশন থেকেই প্যান্ডেল হপিংয়ের জন্য ছড়িয়ে পড়েছিলেন মহানগরের বিভিন্ন প্রান্তে। হাওড়ায় মেট্রো রেল থাকা সত্ত্বেও মণ্ডপে যাওয়ার জন্য ফেরি পরিষেবাকে বেছে নিয়েছেন বহু মানুষ। যার ফলে লক্ষ্মীলাভ হয়েছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির।

    হাওড়া, হুগলি ছাড়াও দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমানের মফস্‌সল এলাকা থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ দুর্গাপুজোর সময় কলকাতায় আসেন ঠাকুর দেখতে। পূর্ব রেলের হিসেব বলছে, হাওড়া ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে পুজোর চারদিনে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের পা পড়েছে। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ১৩.২১ শতাংশ বেশি। ভিড় সামাল দিতে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে বাড়তি ট্রেনও চালানো হয়েছে। হাওড়া স্টেশনে নেমে বাস, ট্যাক্সি কিংবা অ্যাপ ক্যাবের পরিবর্তে এবার ফেরি পরিষেবাকেই আরামদায়ক যাত্রা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন দর্শনার্থীরা। মেট্রোয় মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকেই অধিকাংশ মানুষ হাওড়া স্টেশনে নেমে পা বাড়িয়েছেন ফেরিঘাটের দিকে। এতেই লক্ষ্মীলাভ হয়েছে হুগলি জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির। পুজোর চারদিনে হাওড়া থেকে বাগবাজার, আর্মেনিয়াম ও বাবুঘাট রুটে আয় হয়েছে ২২ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। যা গত বছরের আয়ের প্রায় সমান বলেই জানা গিয়েছে।

    হুগলি জলপথ পরিবহণ সমিতির চেয়ারম্যান রামচরণ মান্না বলেন, ‘মেট্রোর কারণে এবার পুজোয় রোজগার কম হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু পুজোর দিনগুলিতে ফেরি পরিষেবায় রেকর্ড মানুষের ভিড় হওয়ায় আয় বেড়েছে। পরবর্তীকালে উৎসবের মরশুমে ফেরি সার্ভিস নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা করা যেতে পারে।’ জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় হাওড়া ফেরিঘাট থেকে গোলাবাড়ি, আহিরিটোলা, শোভাবাজার হয়ে বাগবাজার পর্যন্ত ভেসেলের সংখ্যা এবার তুলনায় কম ছিল। তাও প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত এই রুটে পরিষেবা দিয়ে বড় অঙ্কের লাভ এসেছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)