• নারকেলের দাম আকাশছোঁয়া, প্যাকেটের রেডিমেড নাড়ুর দিকেই ঝুঁকলেন ক্রেতারা
    বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। খুচরো বাজারে একধাপে অনেকটা বেড়েছে আনাজের দাম। পাশাপাশি রীতিমতো আগুন দাম ফলেরও। বুধবার ছিল লক্ষ্মীপুজো। সকাল থেকেই হাওড়ার বিভিন্ন বাজারে কেনাকাটার ভিড়। ক্রেতাদের বক্তব্য, পুজোর বাজার করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে। নারকেলের দাম আকাশছোঁয়া। ফলে নাড়ু বানানোর দিকে হাঁটেননি অধিকাংশ মানুষ। পরিবর্তে ঝুঁকলেন প্যাকেটের নাড়ুর দিকে। প্যাকেটের মোয়া, মুড়কিরও চাহিদা রয়েছে এবার। 

    এ বছর প্রতিমার দামও অত্যধিক বেড়েছে বলে অভিযোগ সবার। দেড়-দু’ফুটের লক্ষ্মী প্রতিমার দাম প্রায় ৮০০ টাকা। আকারে যত বড়, দাম ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। অনেকে ফল, মিষ্টি দেওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্মীকে লুচি-তরকারি কিংবা খিচুড়ি ভোগ দেন। সেই ভোগের বাজার করতে এসে এদিন ক্রেতাদের রীতিমতো কাহিল হওয়ার দশা। জ্যোতি আলু ৩৫টাকা এবং চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৪০ টাকায় পৌঁছেছে। বাঁধাকপি ও ফুলকপি প্রায় ৬০ টাকা। লাবড়ার জন্য বেগুন কিনতে গিয়ে চোখের জলে নাকের জলে হতে হয়েছে সবাইকে। এক কিলো ১৭০ টাকা দরে বিকিয়েছে বেগুন। কাঁচা লঙ্কা, টম্যাটো, পটলের দামও আকাশছোঁয়া। খুচরো বিক্রেতাদের বক্তব্য, বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে চাষের ক্ষতি হয়েছে। সে কারণেই পুজোর সময় সব্জির দাম দ্বিগুণ। কালীবাবুর বাজারে ফল কিনতে এসেছিলেন প্রবীণ দেবদুলাল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘ছোট সাইজের আনারসের দাম ১০০ টাকা। ভাবা যায়! কিন্তু পুজো তো করতে হবে। তাই নিয়মরক্ষার জন্য যতটুকু না কিনলে নয়, ততটুকু কিনতেই হল।’

    অন্যান্য ক্রেতাদের বক্তব্য, ছোট আকারের নারকেলের দামও প্রায় ৪০ করে হেঁকেছেন বিক্রেতারা। বড়গুলির দাম ৭০ টাকা। তাই নাড়ু বানানোর দিকে না গিয়ে প্যাকেট করা নাড়ু, মোয়া, মুড়কি কিনতে হয়েছে। ব্যাতাইতলা বাজারের এক নাড়ু বিক্রেতা বলেন, গত কয়েক বছর আগেও প্যাকেটের মোয়া-মুড়কির অত চাহিদা ছিল না। কিন্তু এবার ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। নারকেল নাড়ুর চাহিদাই সবথেকে বেশি।
  • Link to this news (বর্তমান)