• পানায় ঢাকা কোদালিয়া নদী, ঐতিহ্যের বাইচ প্রতিযোগিতা হল না লক্ষ্মীপুজোয়
    বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: বহু বছর আগে লক্ষ্মীপুজোর সময় বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল বাগদার পূর্ব হুদা গ্রামে। ওপার বাংলার মানুষরা এদেশে এসে পুজো শুরু করেন। স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে শুরু করেন বাইচ প্রতিযোগিতাও। কোদালিয়া নদীতে প্রতি লক্ষ্মীপুজোয় হতো এ নৌকা দৌড়। এবার নদী কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। ফলে প্রতিযোগিতা হচ্ছে না। হুদা গ্রামের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল এই বাইচ প্রতিযোগিতা। এবার তা না হওয়ায় সকলের মন ভার। প্রশাসন নদী সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি বলে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ।

    হুদাতে দুর্গাপুজোয় সেভাবে আনন্দে মাতে না বাসিন্দারা। গ্রামের মূল উৎসব লক্ষ্মীপুজো। উৎসবের প্রধান অঙ্গ গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া কোদালিয়া নদীতে হওয়া নৌকা বাইচ। এবার সে প্রতিযোগিতা হবে না। ফলে উৎসবের আনন্দ ফিকে। বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসন যদি কচুরিপানা সাফ করত তাহলে উৎসবের আনন্দ অক্ষুণ্ণ থাকত। 

    পূর্ব হুদা গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দা ওপার বাংলা থেকে আসা। ১৯৭২ সাল নাগাদ গ্রামে লক্ষ্মীপুজো শুরু করেছিলেন তাঁরা। এবং ওদেশের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে বাইচ দৌড় শুরু করেছিলেন সকলে মিলে। পুজো উপলক্ষ্যে সাত দিন ধরে চলে মেলা। নানা প্রতিযোগিতার আয়োজনও হয়। মহিলারা এ দিন শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রামে বাপেরবাড়ি চলে আসেন। যাঁরা বাইরে থাকেন তাঁরাও চলে আসেন উৎসবে অংশ নিতে। এবার বাইচ প্রতিযোগিতা না হওয়ায় সকলেরই মন খারাপ। বাসিন্দারা বলেন, প্রতিবছরই নদীতে কচুরিপানা থাকে। আমরা তা সাফ করি। তবে এবার কচুরিপানা বেশি পরিমাণ ছিল। ফলে গ্রামবাসীদের পক্ষে পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। আর প্রশাসনও সহযোগিতা করেনি। প্রশাসনিক আধিকারিকরা একটু এগিয়ে এলে বজায় থাকবে ঐতিহ্য। পুজো কমিটির সভাপতি সন্তোষ বিশ্বাস বলেন, ‘গ্রামের মূল উৎসব লক্ষ্মীপুজো। নৌকা বাইচ এই উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ। সেটি না হওয়ায় সকলেরই মন খারাপ।’-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)