• হাইকোর্টে যাচ্ছে কৃষ্ণনগরের ‘নির্যাতিতা’-র পরিবার, বচসার জেরেই খুন?
    এই সময় | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাটলেও কৃষ্ণনগরে তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অনেক ধোঁয়াশাই কাটছে না। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার মৃতের পরিবারের সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন । রাজ্য পুলিশের তদন্তের উপর তাঁদের ‘আস্থা নেই’ বলে জানিয়েছেন তরুণীর মা। অন্যদিকে, পুলিশের টানা জেরার পরেও খুনের কথা স্বীকার করেননি ধৃত যুবক রাহুল বসু। অন্তত পুলিশের একটি সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছ, বাইক কেনা এবং সেই টাকা নিয়ে অভিযুক্ত এবং ওই তরুণীর মধ্যে বচসা হয়েছিল। সেখান থেকেই পরে খুন না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে জেলা পুলিশ।বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে মৃত ছাত্রীর ময়নাতদন্ত হবে। সেখানে মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে । ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত নেমে বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক লোকেশন ট্র্যাক করে খুনের কিনারা করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

    তবে এখনও রাহুল নিজের বক্তব্যে অনড়। ধৃত খুনের কথা কোনওভাবেই মানতে চাইছে না। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করত মূল অভিযুক্ত যুবক বছর পঁচিশের রাহুল বসু। তার এক প্রতিবেশী বলেন, ‘মেয়েটি মাস ছ’য়েক আগে একবার ছেলেটির বাড়িতে পাকাপাকি ভাবে চলেও এসেছিল। সম্ভবত বাড়ির আপত্তিতে আবার ফিরে যায়।’ কৃষ্ণনগর শহরের নামী একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন নিহত তরুণী। বাবা ফুল বিক্রি করেন। এমন নৃশংস ঘটনায় ধিক্কার জানাতে শহরের বিভিন্ন পাড়ার মহিলারা রাত থেকেই পথে নামেন। পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অপহরণ, গণধর্ষণ, খুন, অ্যাসিড বা অনুরূপ কিছু ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া, প্রমাণ লোপাট এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করেছে।

    পুলিশের একটি সূত্রে খবর, ঘটনার একদিন আগে একটি বাইকের শোরুমে যায় অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা। নির্যাতিতা বাইক কেনার কিছুটা টাকা বাড়ি থেকে জোগাড় করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কথা রাখতে না পারা নিয়ে তীব্র গোলমাল হয় বলে দু’জনের মধ্যে। সেখান থেকেই খুন কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
  • Link to this news (এই সময়)