এই সময়: অযোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে, এমনই দাবি করল সিবিআই। সম্প্রতি বিকাশ ভবনে তল্লাশি চালিয়ে যে-সব নথিপত্র হাতে এসেছে, তার ভিত্তিতেই এই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাদের বক্তব্য, ৭৫২ জনের তালিকা এক আমলাকে পাঠিয়েছিলেন পার্থ। সেই তালিকার মধ্যে ৩১০ জন চাকরি পেয়েছিলেন।প্রাথমিকে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে পর পর ৫ দিন সল্টলেকের বিকাশ ভবনের গুদামে তল্লাশি চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। সেখানেই বেশ কিছু নথি মিলেছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৪ সালের টেট-এ অনুত্তীর্ণদের তালিকা। যা পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় ২০২২-এর ২২ জুলাই পার্থকে গ্রেপ্তার করে ইডি। পরবর্তীতে এসএসসি-র গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ওই মামলায় পার্থ জামিনের আবেদন করতেই বিকাশ ভবনে তল্লাশিতে পাওয়া নথির ভিত্তিতে প্রাথমিকে নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় পার্থকে কিছু দিন আগে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ করে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দিতে দেড় কোটি টাকা তোলা হয়েছে। যা পেয়েছেন পার্থ।
প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে কয়েক দিন আগেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে পার্থকে জেরাও করেন তদন্তকারীরা। তবে কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দেননি বলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি।
তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চলতি সপ্তাহে আরও কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে সিবিআই সূত্রে। গত সোমবার বিচার ভবনের বিশেষ সিবিআই আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দাবি করছিলেন, ‘গত দু’বছর ধরে আমি জেলবন্দি। তদন্ত সে ভাবে এগোচ্ছে না। অনেক দিন আমাকে জেরা করতেও কেউ আসেনি। ফলে নতুন মামলায় যুক্ত করার কারণ বুঝে উঠতে পারছি না।’ যদিও সিবিআইয়ের দাবি, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই নতুন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে।