৬০ টাকায় ‘লক্ষ্মীলাভ’, তিনদিন ধরে পুলিশ ফাঁড়িতেই দিন কাটছে বামাচরণের
এই সময় | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
জমিতে দেওয়ার জন্য দোকানে সার কিনতে গিয়েছিলেন। দোকান ছিল বন্ধ। দোকান বন্ধ থাকা যে তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেবে, কল্পনাও করতে পারেননি বর্ধমানের আউশগ্রামের বাসিন্দা বামাচরণ মেটে। যে টাকা সার কিনতে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই টাকাতেই কাটেন দুটি লটারির টিকিট। এরপর রাতারাতি কোটিপতি বামাচরণ।লক্ষ্মীপুজোর আগেই অগাধ লক্ষ্মীলাভ বর্ধমানের আউশগ্রামের ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা বামাচরণ মেটের। স্ত্রীর কাছ থেকে ১০০ টাকা নিয়ে গত সোমবার স্থানীয় একটি দোকানে জমির সার কিনতে গিয়েছিলেন। সার কিনতে গিয়ে দেখেন দোকান বন্ধ রয়েছে। সেই টাকা দিয়েই ফেরার পথে ৬০ টাকার লটারির টিকিট কাটেন। দুপুরে খেতে বসে অনলাইনে টিকিট মেলাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। ভাগ্য ফিরেছে বামাচরণের।
বামাচরণের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর বিধবা মা, স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে। সামান্য কিছুটা জমি রয়েছে। সেখানে ভাগচাষের পাশাপাশি জনমজুরি করেন। বামাচরণ জানান, জমিতে দেওয়ার জন্য পটাশ সার শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেটা কিনতে গিয়েই যে এভাবে লক্ষ্মী লাভ হবে তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না।
তবে, লটারি জিতেও রক্ষে নেই। সোমবার রাতে লটারি জেতার পর সোজা পুলিশ ফাঁড়িতে চলে যান তিনি। পুরস্কার জেতার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই নিজের এক ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ফাঁড়ির ইনচার্জ ত্রিদীপ রাজকে তিনি জানান, পুলিশের কাছেই থাকতে যান। সোমবার থেকেই পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছেন তিনি। বাড়ি থেকে স্ত্রী এসে খাবার দিয়ে যাচ্ছেন।
বামাচরণ বলেন, ‘আমার ব্যাঙ্কে নতুন অ্যাকাউন্ট করতে হবে। টিকিট ভাঙানোর জন্য কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু এখন তো পুজোর ছুটি। আমার পুরষ্কার জেতার কথা গ্রামের সকলেই জেনে ফেলেছে। তাই বাড়িতে থাকার ঝুঁকি নিতে পারছি না।’ অভাবের সংসারে কোটি টাকা জিতে আনন্দে আত্মহারা গোটা পরিবার। এত টাকা দিয়ে কী করবেন তিনি? প্রশ্নের উত্তরে বামাচরণ জানান, পঞ্চাশ লাখ টাকা এমআইএস করবেন। একটা বাড়ি করবেন। দু’বিঘা জমি কেনারও ইচ্ছে আছে। ছেলেমেয়ের পড়াশোনায় খরচ করবেন। তবে গ্রাম ছেড়ে যাবেন না।