গতকাল বিকালে মীনা তার ছেলে মেয়েকে নিয়ে গোটুতে এক আত্মীয়ের বাড়ি যান। মাঠে ছাগল চড়ানোর সময় দুই ভাইবোন লুকোচরি খেলছিল। সেখানে মেয়ে বছর তেরোর সোমন চারটে নাগাদ বাড়ি চলে যায়। তারপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছে সে। নাবালিকার মা জানান,মেয়ে ভালো বাংলা জানে না। নেপালি আর অল্প হিন্দি জানে। এখানকার পথ ঘাটও চেনে না। এলাকায় সেই অর্থে তার পরিচিত কেউ নেই। কী হল, কোথায় গেল কিছুই বুঝতে পারছেন না।
সুশীল জানান,বাড়ি গিয়ে জিন্সের প্যান্ট টি শার্ট পরে বেরিয়েছিল মেয়ে একজন দেখেছে। গোটু থেকে চুঁচুড়া স্টেশনের দিকে হেঁটে যেতে দেখেছে দু একজন। মেয়ের মানসিক সুস্থতা কম। মাকে বলেছিল বাড়ি যাবে। সারারাত খুঁজেও পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার পোলবা থানায় নিখোঁজ ডায়রি করে নাবালিকার পরিবার। পোলবা থানা সূত্রে খবর গত পাঁচ মাসে ৪৫ টি নিখোঁজের অভিযোগ নথিভু্ক্ত হয়েছে।১৭ জন নাবালিকা নিখোঁজ ছিল তাদের মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবারই পোলবায় নিখোঁজ হয় আরও এক নাবালিকা! পোলবা থানা এলাকার বারুল প্রসাদপুর গ্রামের বাসিন্দার ১৬ বছর বয়সী সোনালী দাস নিখোঁজ হন বুধবার দুপুরে। নাবালিকার মা সোমা দাস জানান, 'দুপুর বারোটার সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল মেয়ে। বাড়ির সামনে এক কসমেটিকসের দোকানে টাকা দিতে বেরিয়েছিল। তারপরে দীর্ঘক্ষণ সময় কেটে গেলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি মেয়ের। এলাকার মানুষজন বলছে রাস্তায় একটি চার চাকার গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আমরা সন্দেহ করছি কিডন্যাপ করা হয়েছে আমার মেয়েকে। বাবা বাবলু দাস পেশায় একজন রংমিস্ত্রি। কারো সঙ্গে তার শত্রুতা নেই। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিস বলেছে বিষয়টি দেখছি'।
পুলিস সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৯ মে থেকে ১৫ই অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত শুধুমাত্র পোলবা থানা এলাকায় নিখোঁজের সংখ্যা ৪৫। এরমধ্যে সতেরো জন নাবালিকা। এদের মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র মারফত আরো জানা যায় মোবাইল ফোন হাতে থাকায় সমাজ মাধ্যমে বন্ধু থেকেই এই ঘটনা। খতিয়ে দেখছে পুলিস।