ফলে সাধারণ মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে রাজ্য সরকারের 'স্বাস্থ্যসাথী' প্রকল্পের উপর ভরসা করছে। এবার জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় খরচ বেড়েছে রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ অগাস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রায় ৩১৫ কোটি টাকা। রিপোর্টে স্পষ্ট, এই পরিসংখ্যান সাধারণ সময়ের তুলনায় প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা করে বেশি খরচ হয়েছে রাজ্যের।
জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আউটডোর পরিষেবা প্রায় অচলাবস্থায়। কমেছে রোগীর ভর্তির পরিমাণ। এমনকি এই হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা ও গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার কমেছে ৫০ শতাংশ। যা বেশ উদ্বেগজনক তথ্য। রিপোর্টে পরিসংখ্যান অনুসারে স্বাস্থ্যসাথী খাতে সবথেকে বেশি খরচ হয়েছে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলি থেকেই। আর স্বভাবতই এই পরিসংখ্যান চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। একের পর এক ডাক্তার দুর্বল হয়ে পড়লেও তাদের মনোবল এখনও দৃঢ়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ডাক্তার অনিকেত মাহাতোকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই তিনি সোজা আসেন অনশন মঞ্চে। তবে ডাক্তারদের পরামর্শ যে, উপোস করে যেন তিনি না থাকেন। রুমেলিকা কুমার এবং স্পন্দন চৌধুরী মঙ্গলবারই অনশনমঞ্চে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের বাদে বাকি সকলেরই শরীরে মিলেছে কিটোন বডি।