তড়িঘড়ি আক্রান্ত বৃদ্ধকে সাপে কামড়ানো প্রতিষেধক এভিএস দেওয়া হয়। বর্তমানে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবক ও বৃদ্ধ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যদিকে আরও এক গৃহবধূ ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার জীবন তলায় বাসিন্দা সুচিত্রা ঘোষকেও বাড়ির কাছে শৌচালয় যাওয়ার পথে তিন ফুটের এক বিষধর কেউটে সাপ কামড় দেয়। তড়িঘড়ি পরিবার সাপটিকে মেরে গৃহবধূকে ক্ষতস্থানে কোষে বাঁধন দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য। ওই গৃহবধূকেও সাপে কামড়ানো প্রতিষেধক এডিএস একটার পর একটা দেওয়া হচ্ছে। দুজনেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের বাসন্তী থানার অন্তর্গত উত্তর সোনাখালির যুবক কুরমান আলি সর্দার। এদিন তার বাড়ির মধ্যে বিশালাকৃতির একটি কেউটে সাপ বামহাতে কামড় দেয়। তড়িঘড়ি সাপটিকে মেরে ফেলে এবং মৃত সাপ নিয়ে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে হাজির হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, ‘সাপটি সম্ভবত অন্তঃস্বস্ত্বা ছিল। সাপ মারা একে বারেই উচিৎ নয়। কারণ পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতি হবে। আক্রান্ত যুবক বিপদ থেকে ধীরে ধীরে সুস্থর দিকে যাচ্ছে । কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবে।’